রাজীবের চিকিৎসার ব্যয় বহন করছে ঢাকা মেডিকেল

Spread the love

আয়না ২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক

যেকোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেটাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য এসব পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।’দুই বাসের ফাঁকে আটকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া কলেজছাত্র রাজীব হোসেনকে গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য নেওয়া হয়।

এদিকে, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের চিকিৎসার খরচ বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে বহন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজীবকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ  দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

ড. শামসুজ্জামান শাহীন জানান, বর্তমানে রাজীবের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তাঁকে উন্নত মানের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বহন করছে। এ ছাড়া বাড়তি যেসব খরচ হচ্ছে, তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে দিচ্ছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের প্রধান শামসুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে আলোচনায় বসেন চিকিৎসকেরা।

পরে শামসুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আমাদের সেরা চিকিৎসকদের নিয়ে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আমরা রোগীকে পরীক্ষা করে দেখেছি। তাঁর মস্তিষ্ক ভালো আছে। তারপরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। এখন ড্রেসিংয়ের জন্য রাজীবকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁর আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছি। কেননা, হাতের আঘাতের পর শরীরের অন্য যেকোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেটাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য এসব পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।’

গতকাল মঙ্গলবার বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন (২১)। হাতটি বেরিয়েছিল সামান্য বাইরে। হঠাৎই পেছন থেকে একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার বা ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিক গা ঘেঁষে পড়ে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাঁকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি।