• Home  / 
  • জাতীয়  / 

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন, বিচারপতি শাহিনুর চেয়ারম্যান

অক্টোবর ১২, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদন

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ পুনর্গঠন করা হয়েছে । এতে চেয়ারম্যান ও দুজন সদস্য নিয়োগের মধ্য দিয়ে বুধবার এই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করল সরকার। পুনর্গঠন আদেশ অনুযায়ী বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এছাড়া হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি আমির হোসেন ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. আবু আহমেদ জমাদারকে সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আবু আহমেদ জমাদার অবসরের পূর্বে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দু’টি দুর্নীতি মামলার বিচার চলছিল। 
 
গত ১৩ জুলাই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হাইকোর্টের বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা যান। তার মৃত্যুবরণের আড়াই মাস পর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হলো। বুধবার আইন মন্ত্রণালয় পুনর্গঠন সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিচারপতি আনোয়ারুল হক মৃত্যুবরণ করায় এবং ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী হাইকোর্টে প্রত্যাবর্তন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ৬(৪) ধারার বিধান মোতাবেক উক্ত পদ শূণ্য ঘোষণা করে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান, বিচারপতি আমির হোসেন ও জজ মো. আবু আহমেদ জমাদারকে (অবসরোত্তর ছুটি বাতিল)  করে সদস্য পদে নিয়োগ করা হলো। এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ ট্রাইব্যুনাল হিসাবে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পূর্ণাঙ্গ ট্রাইব্যুনাল অর্থাৎ তিনজন বিচারক না হলে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোন মামলার রায় ঘোষণা করা যায় না। 
 
প্রসঙ্গত, বর্তমানে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি মামলা রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে। অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে ১০টি মামলা। ১৬টি মামলা রয়েছে শুনানির অপেক্ষায়। এ ছাড়া একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা দেড় শতাধিক। এর মধ্যে ৮৮ আসামি কারাগারে আটক রয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শুরুতে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও পরে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। দু’টি ট্রাইব্যুনাল ২৯টি মামলা নিষ্পত্তি করে। এর মধ্যে জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করে সরকার। এছাড়া জামায়াতের আরেক শীর্ষ নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা হ্রাস করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এছাড়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে অনেক যুদ্ধাপরাধী পলাতক রয়েছেন। আপিল বিচারধীন রয়েছে অনেক দণ্ডপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধীর।