আয়না২৪ প্রতিবেদন
গতকাল শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামে মাকে নির্যাতন করার প্রতিবাদ করায় ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক বাবা।
নিহত ছেলে খালিদ বিন ওয়ালিদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যশোরে কর্মরত ছিলেন। আর বাবা নুর মোহাম্মদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী।
হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে গিয়ে নিহত ব্যক্তির মা নুরজাহান বেগম ও বোন রাবেয়া আকতার আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ (৬৭) নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছেন।
পরিবার ও থানার পুলিশ সূত্র জানায়, যশোর ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে কর্মরত খালেদ বিন ওয়ালিদ ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসেন। ঈদের পর গত ২৮ জুন নুর মোহাম্মাদ তাঁর স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে কথা-কাটাকাটির রেশ ধরে মারধর করেন।
এ নিয়ে বাবার সঙ্গে ছেলে খালিদের বাগ্বিতণ্ডা চরমে পৌঁছায়। এতে ক্ষুব্ধ বাবা শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে ছেলেকে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় খালিদকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর মা ও বোন অস্ত্রের আঘাতে আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে এবং ছেলেকে হত্যার অভিযোগে বাবা নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করেছে। খুন করার পর থেকে বাবা তাঁর ছেলের লাশের পাশেই অবস্থান করছিলেন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে স্বজনের কাছে পাঠানো হয়েছে। আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।