নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ বিশ্ব স্কাউট দিবস। ব্যাডেন পাওয়েলের জন্মদিনটিকে স্মরণ করতেই ২২ ফেব্রুয়ারিকে স্কাউট দিবস হিসেবে পালন করা হয়। স্কাউটিং আন্দোলনের প্রবক্তা ব্যাডেন পাওয়েল ১৮৫৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তার হাত ধরেই ১৯০৭ সালে এ আন্দোলনের সূচনা হয়।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৭টি দেশে প্রায় ৪০ মিলিয়ন স্কাউট ও গার্লস গাইড আজ এই দিবসটি পালন করছেন। ব্যাডেন পাওয়েলের জন্মদিনটিকে স্মরণ করতেই ২২ ফেব্রুয়ারিকে স্কাউট দিবস হিসেবে পালন করা হয়।তাই ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী স্কাউট দিবস হিসেবে পালিত হয়।
ভারতীয় উপমহাদেশে স্কাউটিংয়ের যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ইস্ট পাকিস্তান বয়স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বয় স্কাউট সমিতি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু হয়। আর ১৯৭৮ সালে আবার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস। মেয়েরা এর সদস্য হওয়ার অধিকার লাভ করে ১৯৯৪ সাল থেকে। বর্তমানে বিশ্বের ২১৭টি দেশে তিন কোটি ৮০ লাখ স্কাউট ও গাইড বিভিন্ন স্কাউটিং সমিতির প্রতিনিধিত্ব আছে। বাংলাদেশ স্কাউটসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে বর্তমানে দেশে স্কাউটের সংখ্যা বারো লাখ পাঁচ হাজার। সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্বের পঞ্চম স্থানে।
স্কাউট দিবস উদযাপন বিষয়ে বাংলাদেশ স্কাউটসের পরিচালক (প্রোগ্রাম) মো. আবু সালেক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা এ দিবসকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। কমিউনিটি সেবা, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিশুকল্যাণ, নির্মাণ ও সস্তায় বাড়িঘর তৈরিতে স্কাউটরা সহায়তা করে থাকে। এ ছাড়া বন্যা, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দিতে, অসহায় মানুষের আশ্রয় বা পুনর্বাসনে তারা স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করে।