আয়না২৪ প্রতিবেদন
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মায়ের দুধের উপকারী দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন হচ্ছে।
‘শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো : টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন হচ্ছে।
এই সপ্তাহ উদ্যাপনের মাধ্যমে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ শুরু হয়েছে ১৯৯২ সালে। এবার এই সপ্তাহ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রেস ব্রিফিংয়ে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫ সালের মধ্যে ছয় মাস বয়সী শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার কমপক্ষে ৫০ শতাংশে বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে বাংলাদেশে এরই মধ্যে তা ৫৫ শতাংশ অর্জন হয়েছে।
বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২০ ভাগ শিশু মারাত্বক অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির কারণে প্রতি বছর অনেক শিশুর প্রাণহানি ঘটে। অনেক শিশু খর্বাকৃত হয়ে বেড়ে ওঠে। এই অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. এস কে রায় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে এক বাণীতে সপ্তাহের সাফল্য কামনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই উদ্যোগ একটি সুস্থ ও বুদ্ধিমান সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস করেন, শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য মায়ের দুধপান করানোর কোনো বিকল্প নেই এবং এর অপরিহার্য পুষ্টি শিশুর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে সংবাদপত্র বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ ও টেলিভিশন এবং রেডিওতে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
যদিও আজ থেকে সারাদেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন শুরু হবে। তবে ২ আগস্ট রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ১৭০টি দেশে ১ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত পালিত হবে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলো নানা আয়োজনে এ সপ্তাহ পালন করবে।