আয়না২৪ প্রতিনিধি, বামনা (বরগুনা)
বরগুনার বামনা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এবং দক্ষিণ রামনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নূর আলম সিদ্দিকীকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ বুধবার ভোরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নূর আলম, তাঁর স্ত্রী সালমা খন্দকার (৪৫), ছেলে আহাদ সিদ্দিকী (১৭) কুপিয়ে গুরুতর জখম করার পর তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর দুপুরে তিনি (নূর আলম) মারা যান।
নিহতের পরিবার জানায়, নূর আলম সিদ্দিকী আজ ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উপজেলার দক্ষিণ রামনা গ্রামে বাড়ির পুকুরে ওজু করার জন্য যান। এসময় প্রতিপক্ষ একই বাড়ির গোলাম কবির, গোলাম ফারুক হোসেন ২০-২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী তাঁকে (নূর আলম সিদ্দিকী) রামদা, ছেনা এবং চল দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তাঁর ডাকচিৎকার শুনে ছেলে আহাদ সিদ্দিকী এবং স্ত্রী সালমা খন্দকার দৌঁড়ে সেখানে এসে তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাঁদেরও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে সন্ত্রাসীরা আহত নূর আলম সিদ্দিকীকে পুকুরে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে এলাকার লোকজন এসে তাঁদের তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নূর আলম সিদ্দিকী মারা যান।
পুলিশ জানায়, আহত অবস্থায় বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেেলেক্সে আনার পর আহত নূর আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেওয়া হয়।
রামনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল খালেক বলেন,খুব ভোরে মুঠোফোনে বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে যাই এবং নূর আলমকে পুকুরে এবং তাঁর স্ত্রী ও ছেলেেকে পুকুর পাড়ে গুরুতর অবস্থায় দেখি। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
নিহত নূর আলম সিদ্দিকীর স্ত্রীর সালমা খন্দকার বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নূর আলমের চাচাতো ভাই গোলাম কবির হোসেন ও তাঁদের ভাইদের সঙ্গে মামলা ও বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জের ধরে এর আগে ১৯৯৯ সালে গোলাম কবির হোসেন বন্দুক দিয়ে গুলি করে নূর আলমকে হত্যার চেষ্টা চালায় ।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন জানান,এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।