আয়না২৪ প্রতিবেদন
বনানীর আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামি সাদমান ও সাফাতকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে আইজিপি মো. শহীদুল হক সংবাদ মাধ্যমকে এ খবর জানিয়েছেন।
সিলেটের পাঠানতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার পর তাদের দুজনকে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি।
রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি বিশেষ দল আজ বৃহস্পতিবার রাতে জালালাবাদের একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে সাফাত (২৬) আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে। সাফাতের সঙ্গে গ্রেফতার সাদমান সাকিফ (২৪)ও এই মামলার আরেক আসামি। সে পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক। তার বাবা রেগনাম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ হোসেন জনি।
দুই তরুনী ধর্ষণঃ আসামির সঙ্গে ফেসবুক চ্যাটিং প্রকাশ করলেন বাদী
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে নেওয়া হয়। শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাঁদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডের দ্য রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে শাহরিয়ার নামের এক বন্ধু ছিলেন। তাঁদের বলা হয়েছিল, এটা একটা বড় অনুষ্ঠান, অনেক লোকজন থাকবে। হোটেলে যাওয়ার পর সাফাত ও নাঈমের সঙ্গে তাঁরা আরও দুই তরুণীকে দেখেন। সেখানে তাঁরা ভদ্র কোনো লোককে দেখেননি। পরিবেশ ভালো না লাগায় শাহরিয়ারসহ দুই তরুণী চলে আসতে চেয়েছিলেন। তখন আসামিরা শাহরিয়ারের কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে নেন এবং শাহরিয়ারকে মারধর করেন। এরপর দুই তরুণীকে অস্ত্রের মুখে একটি কক্ষে নিয়ে যান। ধর্ষণ করার সময় শাফাত গাড়িচালককে ভিডিও চিত্র ধারণ করতে বলেন। আর নাঈম আশরাফ মারধর করেন। তাঁরা এ ঘটনা জানিয়ে দেবেন বলে জানান। এরপর আসামি শাফাত তাঁর দেহরক্ষীকে ওই দুই তরুণীর বাসায় পাঠান তথ্য সংগ্রহের জন্য। তাঁরা এতে ভয় পেয়ে যান। লোকলজ্জার ভয় এবং মানসিকভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এরপর ওই দুই শিক্ষার্থী থানায় মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ৪০ দিন পর ভুক্তভোগী ওই দুই ছাত্রী গত ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
আরো পড়ুন…
জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রণ করে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ