আয়না২৪ প্রতিবেদন
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় গৃহকর্মী লাইলী বেগমের (২৫) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গৃহকর্ত্রী সাহানা বেগমকে আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার গৃহকর্তা মইনুদ্দিন ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক তোফাজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান। বেলা একটার দিকে রামপুরা থানায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্মী লাইলী বেগমের ভাশুর শহীদুল ইসলাম গৃহকর্তা, গৃহকর্ত্রী, ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক তোফাজ্জলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
শিবলী নোমান আরও জানান, তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি ঘটনাটি আত্মহত্যা। গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তারের পর স্থানীয়রা ফাঁসির দাবি জানিয়ে মিছিল বের করেন। খিলগাঁও থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা মো. মনসুর আহমেদ সকালে জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে মামলা দুটি করা হয়।
গতকাল বনশ্রীর ৪ নম্বর সড়কে জি ব্লকের একটি বাসায় গৃহকর্মী লাইলী বেগমের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। লাইলীকে হত্যার অভিযোগ এনে তাঁর পরিবার ও এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায় এবং সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
লাইলীর জা শাহনাজ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, লাইলীকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহকর্তা মইনুদ্দিন বলছেন, লাইলী বাসায় কাজ করতে আসার পর বাড়ির একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। পরে দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাইলীকে পাওয়া যায়।
লাইলী বনশ্রীর পাশে হিন্দুপাড়া বস্তিতে থাকতেন। তাঁর ছোট দুই সন্তান রয়েছে। গৃহকর্তা মইনুদ্দিন গতকাল জানান, লাইলীর স্বামী নজরুল ইসলাম ভারতের কারাগারে বন্দী।