আয়না২৪ প্রতিবেদন
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, ফহদার মাজহারকে অপহরণের কোন তথ্য তদন্তে এখনও পাওয়া যায়নি। তার অপহরণের মামলার তদন্ত চলছে। আজ শনিবার যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মাকদ বিরোধী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে মনে হয় ফরহাদ মজহারের ঘটনাটি অপহরণ নয় বলে মনে হয়েছে। ফরহাদ মজহারকে অপহরণ বিষয়ে এখন পর্যন্ত দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম দিন তার ঘনিষ্ঠজনদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভোরে এক জনের ফোন পেয়ে তিনি শ্যামলীর বাসা থেকে বের হয়েছেন। তবে পরদিন আদালতে ফরহাদ মজহার বলেছেন, তিনি ওষুধ কিনতে ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, আলোচিত-সমালোচিত এই প্রাবন্ধিক ও কবিকে অপহরণের অভিযোগের মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগ। বিভাগের জোনাল টিমের গোয়েন্দা পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন এই দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে তিনি এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এ ঘটনায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে আরো কিছু সময় লাগবে। আরো সাক্ষী প্রমাণ পেলে আগামী দুই-তিন দিন পর চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।
এদিকে উদ্ধার পাওয়ার পর ফরহাদ মজহার এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উদ্ধারের পর ফরহাদ মজহার আদালতে একটি জবানবন্দী দিলেও এখনো এ ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি, তার পরিবারের তরফেও নতুন কিছুই বলা হচ্ছে না।
আইজিপি আরও বলেন, কোন পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এমন প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জঙ্গিবাদ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার হওয়া মাহফুজের ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য আমার জানা নেই।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ২১টি অভিযান হয়েছে। এসব অভিযানে জঙ্গিরা কোণঠাসা ও দুর্বল হয়েছে। ঢাকা শহরে তাদের আর সংগঠিত হওয়ার শক্তি নেই। এ কারণে তারা ঢাকার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের নজরদারিতে রেখেছি।’