পদ্মাসেতুর ৪৯ ভাগ কাজ সম্পন্ন

অক্টোবর ১৯, ২০১৭
Spread the love
আয়না২৪ ডেস্ক
স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজের শতকরা ৪৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে  বুধবার পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
 
তিনি বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সর্বান্তকরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যেই মূল সেতুর নির্মাণ কাজের ৪৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
 
যদিও এই নির্মাণ কাজ সম্পন্নের হার লক্ষ্য অর্জনের নিচে রয়েছে তথাপি ২০১৮ সাল নাগাদ এই সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবার আশা পোষণ করেন তিনি।
 
প্রকল্প কর্মকর্তা সূত্রমতে, ব্রিজ নির্মাণের জন্য নদী শাসনের কাজ ৩৪ শতাংশ, জাজিরা সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ ৯৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মাওয়া সংযোগ সড়কের শতভাগ নির্মাণ কাজ এবং পদ্মাসেতুর সার্ভিস এরিয়া-২ এর শতভাগ নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
 
প্রধাানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সেতুর নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে বলেও প্রকল্প পরিচালক উল্লেখ করেন।
 
কাজ সম্পন্ন হবার পর এই ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মানদীর উপর দিয়ে নির্মিত সড়ক সেতুটিই হবে দেশের বৃহত্তম। যেটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজংকে শরীয়তপুরের সঙ্গে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
 
বাংলাদেশ সেতু কতৃর্পক্ষ (বিবিএ) ২৮,৭৯,৩৩৮,৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ করছে। যার কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে।
 
এই নির্মাণ কাজ মূলত, ৫টি অংশে বিভক্ত। যার মধ্যে রয়েছে- মূল সেতু নির্মাণ, নদী শাসন, দুটি সংযোগ সড়ক এবং অবকাঠামো নির্মাণ (সার্ভিস এরিয়া)।
 
চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি মূল সেতুর নির্মাণ কাজ করছে এবং চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন রয়েছে নদী শাসনের দায়িত্বে। এছাড়া দেশের আব্দুল মোনেম লিমিটেড কোম্পানীকে দুটি সংযোগ সড়ক এবং অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
 
এই সেতুটি নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবাহ বৃদ্ধিও সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর কর্মসংস্থানেরর সৃষ্টি হবে।
 
ব্রিজ প্রকল্প অনুযায়ী সেতুর জন্য ৪১টি স্প্যান নির্মিত হবে এবং মাওয়া ও মুন্সীগঞ্জের দিকে ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার পর পর ‘ভায়াডাক্ট’ নির্মাণ করা হবে। বাসস