আয়না২৪ প্রতিবেদন
পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কটি চালু হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১২টায় যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনের পর সড়কটি সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া রুটে নির্মিত এই সংযোগ সড়কটি চালু হওয়ায় সড়ক পথে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যে কোন গন্তব্যে আগের থেকে এক ঘন্টা সময় কম লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
জানাগেছে, পদ্মাসেতুর সংযোগ সড়ক শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা থেকে মাদারীপুরের পাচ্চর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের একাংশ খুলে দেওয়ায় এখন থেকে জাজিরার কাঁঠালবাড়ি ঘাটে নেমে গাড়ি নিয়ে পদ্মাসেতুর চার লেনের সংযোগ সড়কের পাশ দিয়ে পাচ্চর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। মাওয়া (শিমুলিয়া ঘাট) থেকে ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাট নেমে, সেখান থেকে দক্ষিণবঙ্গের যে কোনো স্থানে যেতে আগের চেয়ে এক ঘণ্টা সময় কম লাগবে।
পদ্মাসেতুর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সংযোগ সড়ক প্রকল্পের জাজিরা সার্ভিস এরিয়া-৩ এর পাশ দিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গেছে একটি সড়ক, আর কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে শরীয়তপুরের দিকে গেছে আরেকটি সড়ক। এ দু’টি সড়ক গত ৬-৭ মাস ধরে পুরোপুরি নতুন করে করে নির্মাণ করা হয়েছে, কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাতায়াতের সে দু’টি সড়কই এখন খুলে দেওয়া হচ্ছে।
সংযোগ সড়ক
প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, পদ্মার জাজিরা পাড়ের নাওডোবা থেকে পাচ্চর পর্যন্ত পদ্মাসেতুর চার লেন সংযোগ সড়ক দেশের যেকোনো সড়কপথের চেয়ে বেশি মসৃণ এবং বড় আকারে বানানো হয়েছে। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে এসে এই সড়কও ব্যবহার করা যাবে। এই ১২ কিলোমিটার সড়কপথে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে গাড়ি। সড়কটির ওপরের স্তরগুলোর পুরুত্ব এতোই শক্তিশালী যে, দেশে এই প্রথম কোনো সড়কে ৬ ইঞ্চি কার্পেটিং করা হলো।চালু করার পরবর্তী ১০ বছর এ সড়কে কোনো মেরামত ছাড়াই যান চলাচল করবে। সংযোগ সড়কটি সমতল থেকে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় মিটার উঁচু। আর রাস্তার মাঝখানে এমন ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে যেন ভবিষ্যতে ফ্লাইওভার ও মেট্রো রেলের পিলার তোলা যায়। সড়কটির প্রতিটি লেন ১২ ফুট প্রশস্ত। এই ১২ কিলোমিটার সড়কপথের মধ্যে ২০টি কালভার্ট এবং ৮টি ডাবল ও সিঙ্গেল আন্ডারপাস রয়েছে।
এদিকে, পাচ্চর পর্যন্ত গিয়ে পদ্মাসেতুর সংযোগ সড়ক শেষ হয়ে গেলেও সেখান থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চার লেন সড়কের কাজের দরপত্র হয়ে গেছে। আর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে একটি সড়ক সদরে, একটি বরিশালে এবং একটি খুলনার দিকে গেছে। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত দুই লেনের ৯১ কিলোমিটার সড়কের মাঝখানে থাকবে ডিভাইডার।