আয়না২৪ প্রতিবেদন
আজ ১৯ জুলাই হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহম্মেদ দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন।
হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে কিংবদন্তি এক নাম। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্ম নেন তিনি। তাঁর বাবা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন। তার বাবা লেখালিখি করতেন ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করতেন। বগুড়া থাকাকালীন তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। গ্রন্থের নাম ‘দ্বীপ নেভা যার ঘরে’।
হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের একজন বিজ্ঞান শিক্ষক এবং কথাসাহিত্যিক। ছোট ভাই আহসান হাবীব রম্য লেখক এবং কার্টুনিস্ট। হুমায়ুন আহমেদের ছোট তিন বোন শিকু, শিফু ও মনি।
ছোটকালে হুমায়ূন আহমেদের নাম রাখা হয়েছিল শামসুর রহমান। ডাকনাম কাজল। তার বাবা নিজের নাম ফয়জুর রহমানের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন শামসুর রহমান। পরবর্তীতে তিনি নিজেই নাম পরিবর্তন করে হুমায়ূন আহমেদ রাখেন।
বাবার চাকরি সূত্রে নেত্রকোণা, দিনাজপুর, বগুড়া, সিলেট, পঞ্চগড়, রাঙামাটি, বরিশালে তার শৈশব কেটেছে। সেই সুবাদে দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সব গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিজ্ঞানে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
হুমায়ূন আহমেদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ৫৬৪ নম্বর কক্ষে তাঁর ছাত্রজীবন অতিবাহিত করেন। জনপ্রিয় কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা ছিলেন তার রুমমেট। এমএসসি শেষে হুমায়ূন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন। তবে প্রচারবিমুখ এই বিস্ময় পুরুষ সাধারণত নামের শেষে কখনও ‘ড.’ উপাধি ব্যবহার করতেন না।
কর্মে প্রবেশ করেন ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী তোমাদের জন্য ভালোবাসা। ১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় একসময় অধ্যাপনা ছেড়ে দেন তিনি।
১৯৭৩ সালে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। হুমায়ূন আহমেদের প্রথমা স্ত্রীর নাম গুলতেকিন আহমেদ। ভালোবেসে তিনি গুলতেকিনকে বিয়ে করেছিলেন। হুমায়ূন আহমেদের উত্থান ও তার প্রথম জীবনের সংগ্রামে নেপথ্যের নায়িকা হয়ে ছিলেন তার স্ত্রী। হুমায়ূন আহমেদ তার ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ বইতে সেই সাক্ষ্য নিজেই দিয়ে গেছেন।
হুমায়ূন-গুলতেকিন দম্পতির তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে। তিন মেয়ের নাম বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ এবং ছেলের নাম নুহাশ আহমেদ। অন্য আরেকটি ছেলে অকালে মারা যায়।
১৯৯০ সালের মধ্যভাগে অভিনেত্রী শাওনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা হয়। এ ২০০৫-এ গুলতেকিনের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয় এবং ওই বছরই শাওনকে বিয়ে করেন।
এ ঘরে তাদের তিন ছেলে-মেয়ে। তবে প্রথম ভূমিষ্ঠ কন্যা মারা যায়। সেই কন্যার নাম রেখেছিলেন লীলাবতী। তাকে একটি বইও উৎসর্গ করেছিলেন হুমায়ূন। ছেলেদের নাম নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের ছাত্র জীবনে সাহিত্যে যাত্রা শুরু করেন ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাসের মাধ্যমে। ‘শঙ্খনীল কারাগার’ তার ২য় গ্রন্থ। তারপর থেকে যেখানেই হাত দিয়েছেন হুমায়ূন, সেখানেই সোনা ফলেছে। সময়ের অববাহিকায় দীর্ঘদিনের সাহিত্য জীবনে তিনি রচনা করেছেন প্রায় তিন শতাধিক গ্রন্থ । যা বিশ্ব সাহিত্যে একজন লেখক হিসেবে তাকে দিয়েছে অনন্য মর্যাদা।
তার রচনাসমগ্রের মধ্যে এইসব দিনরাত্রি, জোছনা ও জননীর গল্প, মন্দ্রসপ্তক, দূরে কোথাও, সৌরভ, নি, ফেরা, কৃষ্ণপক্ষ, সাজঘর, বাসর, গৌরীপুর জাংশান, বহুব্রীহি, আশাবরি, দারুচিনি দ্বীপ, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, আমার আছে জল, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, মেঘ বলেছে যাবো যাবো, মাতাল হাওয়া, শুভ্র গেছে বনে, বাদশাহ নামদার, এপিটাফ, রূপা, আমরা কেউ বাসায় নেই, মেঘের ওপারে বাড়ি, আজ চিত্রার বিয়ে, এই মেঘ, রৌদ্রছায়া, তিথির নীল তোয়ালে, জলপদ্ম, আয়নাঘর, হুমায়ূন আহমেদের হাতে ৫টি নীলপদ্ম ইত্যাদি অন্যতম।
লিখেছেন অসংখ্য ছোট গল্প। তার ছোট গল্পগুলো বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। ভৌতিক গল্পেও জুড়ি নেই হুমায়ূনের। এর বাইরে কবিতা ও গান লেখাতেও হাত চালিয়েছেন। বিশেষ করে একজন গীতিকবি হিসেবে হুমায়ূন ‘বরষার প্রথম দিনে’, ‘যদি মন কাঁদে তবে চলে এসো’, ‘চাঁদনি পসর রাইতে যেন আমার মরন হয়’, ‘চাঁদনী পসরে কে আমারে স্মরণ করে’, ‘আমার ভাঙা ঘরে’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খিরে’ ইত্যাদি গানে নিজেকে কালজয়ী করে রেখেছেন।
বাংলা সাহিত্যের নতুন যুগের স্রষ্টা ছিলেন হুমায়ুন আহমেদ। বাংলা সাহিত্যকে সর্বজনীন করে তুলতে এই কিংবদন্তী কথাশিল্পীর অবদান ইতিহাস হয়ে থাকবে। তার সৃষ্ট চরিত্র ‘হিমু’ জনপ্রিয়তায় বিশ্ব সাহিত্যেও বিস্ময়। এর বাইরে ‘মিসির আলী’, ‘রুপা’, ‘শুভ্র’, ‘মাজেদা খালা’, ‘বাকের ভাই’, ‘মোনা’, ‘ছোট মামা’ ইত্যাদি চরিত্রগুলোও দারুণ জনপ্রিয় বাংলা সাহিত্যে। তবে এই চরিত্রগুলো নাটক ও চলচ্চিত্রের হাত ধরে চিরদিনের মতো থেকে গেল আশ্চর্য রকম জীবন্ত।
হুমায়ূন আহমেদের তৈরি করা বিচিত্র সব চরিত্র মানুষকে হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে, স্বপ্নে ভাসিয়েছে। এক একটি চরিত্র পাঠক-দর্শকদের কাছে একেকটি নতুন আবিষ্কার। সাহিত্যের চরিত্রগুলোই বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে তার নাটক-সিনেমায়। হুমায়ূনের গড়া এসব চরিত্রে কখনও কখনও তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন নিজেরই প্রতিরূপ। হুমায়ূন আহমেদের মধ্যে আমরা তাই খুঁজে পাই কখনও হিমু, কখনও বা মিসির আলী, আবার কখনও শুভ্রকে। তার তৈরি করা চরিত্রের জনপ্রিয়তা ব্যক্তি হুমায়ূনকেও কখনও কখনও যেন ছাড়িয়ে গেছে।
হুমায়ূন আহমেদ কিংবদন্তি হয়ে আছেন বাংলাদেশের টিভি নাটকের জগতেও। ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য নাটক রচনা শুরু করেন তিনি। উনিশ’শ আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশনে প্রচারিত হুমায়ূন আহমেদের নাটকগুলো এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে তার সৃষ্টি করা চরিত্রদের বিপদে রাস্তায় নেমে আসত মানুষ।
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বাকের ভাইকে ফাঁসি না দেয়ার জন্যে লেখকের বাড়ি ঘেরাও করেছিলেন দর্শকরা। দর্শকদের মিছিল বের হয়েছিল। কথা শোনেননি বাকের ভাইয়ের স্রষ্টা হুমায়ূন।
তার অন্যতম নাটকগুলোর মধ্যে এইসব দিন রাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, নক্ষত্রের রাত, অয়োময়, আজ রবিবার, তারা তিনজন, আমরা তিনজন, মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন শুভেচ্ছার স্বাগতম, জল তরঙ্গ, ইবলিশ উল্লেখযোগ্য।
একজন চলচ্চিত্রকার হিসেবেও হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় এক নাম। হুমায়ূন আহমেদে মৃত্যতে শোক প্রকাশ করে স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সব গুণী মানুষ একে একে চলে যাচ্ছে। হুমায়ূনকে হারিয়ে অনুভব করছি, আপনজন হারানোর বেদনা। সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রের জন্য আমরা যারা কাজ করে আসছি, হুমায়ূন আহমেদ তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি মানুষকে হলমুখী করেছিলেন।’
মূলত তার চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ তৈরি হয় নব্বই দশকের প্রথম দিকে। এই আগ্রহ আর সীমাহীন স্বপ্ন ছিল জীবনের শেষভাগেও। মোট ৮টি ছবি নির্মাণ করে গেছেন তিনি। ছবিগুলো হলো আগুনের পরশমনি, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, আমার আছে জল আর ঘেটুপুত্র কমলা।
দীর্ঘদিনের সাহিত্য জীবনে একজন লেখক হিসেবে প্রায় সবই তিনি অর্জন কিংবা জয় করে নিয়েছিলেন। পাঠক, ভক্ত, সম্মান, টাকা-সব কিছুই তিনি পেয়েছিলেন দু’হাত ভরে। আর স্বীকৃতিস্বরুপ নানা সময়ে ঘরে উঠেছে নানা পুরস্কার। তার মধ্যে রয়েছে সাহিত্যে- বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসুদন পদক, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক এবং চলচ্চিত্রে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ কাহিনী ১৯৯৪, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১৯৯৪, শ্রেষ্ঠ সংলাপ ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার ইত্যাদি।
তবে হুমায়ূন আহমেদ চিরদিন সম্মানিত হয়ে থাকবেন আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, ডলি জহুর, সুবর্ণা মুস্তাফা, আলী জাকের, জাহিদ হাসান, মেহের আফরোজ শাওন, স্বাধীন খসরু, ডা. এজাজ, মাহফুজ আহমেদ, কুদ্দুস বয়াতি, বারী সিদ্দিকী, ফারুক আহমেদ, বিপাশা হায়াত, শমী কায়সার, প্রাণ রায়, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শামীমা নাজনীনের মতো অসংখ্য নন্দিত শিল্পীদের কারও কারও উত্থান ও কারও বা অনিন্দ্য বিকাশের কারিগর হিসেবে।
মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন মলাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। আরোগ্যের আশায় দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার ২০১২ তারিখে স্থানীয় সময় ১১টা ২০ মিনিটে নিউইয়র্কের বেলেভ্যু হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদপুরুষ।
এর পূর্বে ১২ দফায় তাকে কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর তার কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলেও, শেষ মুহূর্তে শরীরে অজ্ঞাত ভাইরাস আক্রমণ করায় তিনি দ্রুত অবনতির দিকে যান। কৃত্রিমভাবে লাইভ সাপোর্টে রাখার পর ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে ইন্তেকাল করেন হুমায়ূন আহমেদ। সেই যে নীরবতা নেমে এসেছিল বাংলা সাহিত্যের আঙিনায়, আজও তার বিষাদ কাটেনি।
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ ২৩ জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। আগেই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট লেখকের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জনস্রোত শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। হুমায়ূনকে শ্রদ্ধা জানাতে গণমানুষের ভিড়ে সেদিন অপেক্ষায় ছিলেন মন্ত্রী, সচিব, শিল্পপতিসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তারকারাও। সবার চোখে জল, হাতে ফুল। সবার চোখে মুখে আপনজন হারানোর গাঢ় বেদনা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি তারকাদের ভিড় বাড়তেই থাকে। এরই মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যায়, আবার ওঠে রোদ। ফুলে ফুলে ভরে উঠতে থাকে হুমায়ূনের কফিন। অবশেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার নিজের হাতে গড়া নুহাশপল্লীতে। সেখানে লিচু গাছের নিচে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। চলে গেছেন কিংবদন্তি। আজ কিংবদন্তির স্মৃতিরা পড়ে আছে এখানে-ওখানে বেদনার রঙ ছড়িয়ে।
সাহিত্যের আড়ালে হুমায়ূন আহমেদ খুব হালকা ভাষায় বলে যেতেন মানবজীবনের চরম বাস্তবতার কথা। তেমনি এক লেখায় বলেছিলেন- ‘তুমি হাসলে সবাই তোমার সাথে হাসবে, কিন্তু তুমি কাঁদলে কেউ তোমার সাথে কাঁদবে না। মানুষকে কাঁদতে হয় একা একা।’