আয়না২৪ প্রতিবেদন
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস হামলার ঘটনায় গাইবান্ধার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ইন্ধন রয়েছে বলে আ’লীগের প্রতিনিধিদলের কাছে অভিযোগ করেছেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদারপুর গির্জার সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এসব কথা বলেন।
এর আগে রোববার রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
সমাবেশে সাঁওতালদের পক্ষে বক্তৃতা দেন রুমিলা হেমব্রম, মিনা মাড্ডি, মেথিয়াস মাড্ডি, বার্না দাস টুডু ও শ্যামল মার্ডি।
সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর এমন অভিযোগের পর সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, এই সহিংস ঘটনার পিছনে যাঁদের ইন্ধন রয়েছে, তাঁরা যে দলেরই লোক হোক না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস হামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সমাবেশে তাঁরা বলেন, ‘চিনিকলের সঙ্গে জমি নিয়ে যে বিরোধ, এই বিরোধ মেটানোর জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আমরা চার বছর আগে এই আন্দোলন শুরু করি। এখন তাঁরা আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সহিংস ঘটনার ইন্ধন জুগিয়েছেন। আমাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন। সহিংস ঘটনায় আমাদের লোক মারা গেছেন। আর আমাদের নামে মামলা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, বিচার চাই। আমাদের বাপ-দাদার জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই।’
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, টিপু মুনশি, সুজিত রায় নন্দী ও উম্মে কুলসুম।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিন ঘুরেছি। সাঁওতালদের ঘরে ঘরে গিয়ে ওই দিনের সহিংস ঘটনার বননা শুনেছি। আমরা এর প্রকৃত বিচার করব বলে আশা করি।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে কমিটি করে দিয়ে আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন। তিনিও চান, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা হোক।’