আয়না২৪ প্রতিবেদন
সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ায় শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া অসুস্থতা ছোঁয়াছে নয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানিয়েছেন রোগটি ছোঁয়াছে নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রাথমিকভাবে উনারা ধারণা করছেন দীর্ঘ দিনের পুষ্টিহীনতার কারণে শিশুরা এ ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই রোগের প্রকৃত কারণ রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করলে জানা যাবে।’
সিভিল সার্জন আরও জানান, ‘রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডাক্তাররা ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস অ্যান্ড ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে গিয়েছেন। তারা সেখানে ভর্তি হওয়া আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া তাদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে রোগের লক্ষণ সর্ম্পকে অবহিত হয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে আমরা চমেক হাসপাতালে এসেছি, এখানে যারা চিকিৎসা তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তারপর উনারা ত্রিপুরা পাড়ায় যাবেন।’
অজ্ঞাত রোগে সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ার ৯ শিশু মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বুধবার রাতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে আসেন।
এর আগে এই রোগে গত চার দিনে ওই পাড়ার ৯ শিশু মারা যায়। এর মধ্যে চার জন মারা যায় বুধবার। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৪৬ শিশু। প্রথমে জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেও পরবর্তীতে আক্রান্ত শিশুরা ফুসকুড়ি, বমিসহ পেট ব্যথায় আক্রান্ত হয়।
প্রথমদিকে এই ঘটনাকে স্থানীয়রা স্বাভাবিক জ্বর মনে করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এই আক্রান্ত শিশুরা মারা যেতে থাকলে বিষয়টি স্থানীয় চিকিৎসকরা জানতে পারেন। পরে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ডাক্তারদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে পাঠান। এই পর্যন্ত ৪৬ জন আক্রান্ত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।