আয়না২৪ প্রতিবেদন
দুই দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে আজ শুক্রবার সকালে ফেনীর ফুলগাজীর ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মুহুরি নদীর উত্তর শ্রীপুর ও জয়পুর গ্রামের পশ্চিম অংশের বাঁধ যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কহিনুর আলম জানান, গতকাল রাত নয়টা থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুই গ্রামের মানুষ রয়েছন বন্যা আতংকে।
প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে- উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, পুর্ব ঘনিয়ামোড়া, সাহাপাড়া, কিসমত ঘনিয়ামোড়া জয়পুর, দেড়পাডা, মালিপাথর, উত্তর নীলক্ষী ও দক্ষিণ নীলক্ষী। এদিকে ফুলগাজী বাজার রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে ডুবে গেছে বাজারের অধিকাংশ দোকান।
ফুলগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত পৌনে এগারোটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর ১নং ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে মুহুরী নদীর বাঁধটি ভেঙে যায়। এর কিছুক্ষণ পর একই ইউনিয়নের কিসমত ঘনিয়ামোড়ার হাসেম মেম্ববারের বাড়ি সংলগ্ন মুহরী নদীর আরেকটি বাঁধ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। আজ শুক্রবার সকালে সদর ইউনিয়নের দেড়পাড়া গ্রামে নতুন করে আরও একটি মুহুরী নদীর বাঁধ ভাঙ্গন সৃষ্টির ফলে ইউনিয়নের ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ফুলগাজী সদর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, রাতে ফুলগাজী বাজারে পানি উঠলেও ভোরে তা নেমে যায়। এতে বাজারের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, বন্যায় প্লাবিত এলাকার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট দশ মেট্রিকটন চাউল বরাদ্দ চেয়েছেন। প্লাবিত এলাকায় মানুষদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল রাতে ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, এজিইডির ডিডি আবু দাউদ মো.গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবময় দেওয়ান, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।