আয়না২৪ ক্রিড়া ডেস্ক
লিওনেল মেসির যাদুকরী নৈপুণ্যে শিরোপা নিয়েই মৌসুমের ইতি ঘটাতে পেরেছে বার্সেলোনা। শনিবার দিপোর্তিভো আলাভেসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোপা দেল রে’র শিরোপা ধরে রেখেছে ক্লাবটি। খবর এএফপির।
ইতোমধ্যে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে লিগ শিরোপা হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। তাই শেষ মুহূর্তে এসে কাপ শিরোপাটি ঘরে তুলে লিগে ব্যর্থতার বেদনা সামান্য হলেও লাঘব করতে সক্ষম হল বিদায়ী কোচ লুইস এনরিকের শিষ্যরা। মেসি ক্লাবের পক্ষে প্রথমে নিজেই গোল করেছেন এবং পরবর্তীতে গোল করিয়েছেন নেইমার ও প্যাকো আলকাসেরকে দিয়ে। মেসির গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে গেলেও থিও হার্নান্দেজের অসাধারণ ফ্রি কিকের গোলে সমতায় ফিরেছিল আলাভেস। পরে প্রথমার্ধেও বিরতিতে যাবার আগমুহূর্তেই নেইমার ও আলকাসেরের পরপর গোলে নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছে যায় বার্সা।
এ জয়ের ফলে রেকর্ড সংখ্যক ২৯বারের মত কাপ শিরোপা জয় করল কাতালান ক্লাবটি। পাশাপাশি তিন মৌসুম ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন কালে প্রতিটি মৌসুমেই ক্লাবকে শিরোপা পাইয়ে দেয়ার কৃতিত্ব অর্জন এবং নিজের নামের পাশে ৯টি শিরোপা লিখিয়ে রাখতে সক্ষম হলেন এনরিকে। শনিবারের এই ম্যাচেই মেসি ফের প্রমাণ করলেন তিনি কেন সেরা। তার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়েই বার্সা লিগ শিরোপা হারানোর হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাচ শেষে কোচ এনরিকে বলেন, ‘ তিনি (মেসি) অসাধারণ এবং ভিন গ্রহের মানুষের মত। মেসির সেরা সময়ে আমি তাকে দলে পাবার সৌভাগ্য লাভ করেছি। এই খেলার মাধ্যমে আবারো প্রমাণ করেছেন তিনিই সেরা।’
আলাভেসের কোচ মরিসিও পেলিগ্রিনোও মেসির মত সমান সংখ্যক ৫বার বিশ্ব সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব লাভ করেছেন। তিনিও মেসির প্রশংসা করে বলেন,‘মেসি হচ্ছেন ক্ষণজন্মা খেলোয়াড়দের একজন। তিনি নিজে যেমন গোলের সুযোগ তৈরি করে গোল আদায় করতে পারেন, তেমনি অন্যান্যদের দিয়ে গোল করাতেও পারদর্শী।’
এমনিতেই নিষিদ্ধ থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে লুইস সুয়ারেজ ও সার্জি রবার্তোকে মাঠে নামাতে পারেননি এনরিকে। তার ওপর আবার বিষ ফোড়ার মত যুক্ত হয়েছে জাভিয়ার মাশচেরানোর ইনজুরি। আকস্মিক মাথায় চোট পাবার ফলে ১১মিনিটের মাথায় তাকে মাঠ থেকে তুলে নিতে হয় কোচকে।
ম্যাচের ৩০তম মিনিটে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন মেসি (১-০)। কিন্তু তিন মিনিট পরেই কাতালানদের হতাশায় ডুবিয়ে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন আলাভেসের ফরাসি ডিফেন্ডার হার্নান্দেজ। ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোল করেন তিনি (১-১)। তবে হতাশা কাটাতে বার্সেলোনাও খুব বেশি সময় নষ্ট করেনি।
প্রথমার্ধের বিরতিতে যাবার আগমুহূর্তেই পরপর দুই গোল করে ফের বার্সাকে এগিয়ে দেন নেইমার ও আলকাসের। ৪৫তম মিনিটে নেইমার গোল করে কাতালানদের ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ওই অর্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+৩) আলকাসের ফের গোল করলে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধানেই জয় নিশ্চিত হয় এনরিকের শিষ্যদের।