আয়না ২৪ প্রতিবেদক
বন্যা এবার দেশের মধ্যাঞ্চলে ধেয়ে আসছে। ২১ আগস্ট অমাবস্যায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা স্থিতিশীল থাকলেও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা রেকর্ড ছাড়িয়ে প্লাবিত করছে চারপাশের এলাকা। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসমুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা অতিক্রম করে মানিকগঞ্জ-শরীয়তপুরের দিকে বন্যা ধেয়ে আসছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১০৭ জন মারা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘ধরলা, তিস্তার পানি কমলেও যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উত্তরাঞ্চলে কমলেও পানি বাড়বে মধ্যাঞ্চলের দিকে। ’
১৯৮৮ সালের ইঙ্গিত : উজানের ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় পানির উচ্চতা ৭৫ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ১৯ আগস্টের মধ্যে ওই পানি বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় (ইউএনআরসিও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণা কেন্দ্র। ১০ আগস্ট সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভুটান ও নেপালের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অঞ্চলগুলোয় গত শুক্রবার থেকে পানি বাড়ছে এবং ১৯ আগস্ট পর্যন্ত এ পানি ভাটির দিকে প্রবাহিত হতে পারে। ২০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উজানে বন্যার মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। ভারত ও চীনের অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বিপদসীমা অতিক্রম করছে নদ-নদীগুলো। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা রেকর্ড অতিক্রম করেছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি ঢুকতে পারছে না। ফলে পানি এক রাস্তা দিয়ে বের হতে গিয়ে চাপ বাড়ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বন্যায় উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২০ জেলা প্লাবিত হয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হচ্ছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ব্রহ্মপুত্র নদের উজানের অংশে (কুড়িগ্রাম, রংপুর) উন্নতি হতে শুরু করবে। আর জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জে অবনতি হবে। বন্যা পরিস্থিতি মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে। গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকার চারদিকে ৫টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৬-১৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা এবার দেশের মধ্যাঞ্চলে ধেয়ে আসছে। ২১ আগস্ট অমাবস্যায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা স্থিতিশীল থাকলেও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমা রেকর্ড ছাড়িয়ে প্লাবিত করছে চারপাশের এলাকা। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসমুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা অতিক্রম করে মানিকগঞ্জ-শরীয়তপুরের দিকে বন্যা ধেয়ে আসছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১০৭ জন মারা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘ধরলা, তিস্তার পানি কমলেও যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উত্তরাঞ্চলে কমলেও পানি বাড়বে মধ্যাঞ্চলের দিকে। ’
১৯৮৮ সালের ইঙ্গিত : উজানের ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় পানির উচ্চতা ৭৫ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ১৯ আগস্টের মধ্যে ওই পানি বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় (ইউএনআরসিও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণা কেন্দ্র। ১০ আগস্ট সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভুটান ও নেপালের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অঞ্চলগুলোয় গত শুক্রবার থেকে পানি বাড়ছে এবং ১৯ আগস্ট পর্যন্ত এ পানি ভাটির দিকে প্রবাহিত হতে পারে। ২০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উজানে বন্যার মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। ভারত ও চীনের অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বিপদসীমা অতিক্রম করছে নদ-নদীগুলো। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা রেকর্ড অতিক্রম করেছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি ঢুকতে পারছে না। ফলে পানি এক রাস্তা দিয়ে বের হতে গিয়ে চাপ বাড়ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বন্যায় উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২০ জেলা প্লাবিত হয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হচ্ছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ব্রহ্মপুত্র নদের উজানের অংশে (কুড়িগ্রাম, রংপুর) উন্নতি হতে শুরু করবে। আর জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জে অবনতি হবে। বন্যা পরিস্থিতি মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে। গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকার চারদিকে ৫টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৬-১৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা এবার দেশের মধ্যাঞ্চলে ধেয়ে আসছে। ২১ আগস্ট অমাবস্যায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা স্থিতিশীল থাকলেও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমা রেকর্ড ছাড়িয়ে প্লাবিত করছে চারপাশের এলাকা। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসমুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা অতিক্রম করে মানিকগঞ্জ-শরীয়তপুরের দিকে বন্যা ধেয়ে আসছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১০৭ জন মারা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘ধরলা, তিস্তার পানি কমলেও যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উত্তরাঞ্চলে কমলেও পানি বাড়বে মধ্যাঞ্চলের দিকে। ’
১৯৮৮ সালের ইঙ্গিত : উজানের ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় পানির উচ্চতা ৭৫ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ১৯ আগস্টের মধ্যে ওই পানি বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় (ইউএনআরসিও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণা কেন্দ্র। ১০ আগস্ট সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভুটান ও নেপালের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অঞ্চলগুলোয় গত শুক্রবার থেকে পানি বাড়ছে এবং ১৯ আগস্ট পর্যন্ত এ পানি ভাটির দিকে প্রবাহিত হতে পারে। ২০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উজানে বন্যার মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। ভারত ও চীনের অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বিপদসীমা অতিক্রম করছে নদ-নদীগুলো। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা রেকর্ড অতিক্রম করেছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি ঢুকতে পারছে না। ফলে পানি এক রাস্তা দিয়ে বের হতে গিয়ে চাপ বাড়ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বন্যায় উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২০ জেলা প্লাবিত হয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হচ্ছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ব্রহ্মপুত্র নদের উজানের অংশে (কুড়িগ্রাম, রংপুর) উন্নতি হতে শুরু করবে। আর জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জে অবনতি হবে। বন্যা পরিস্থিতি মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে। গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকার চারদিকে ৫টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৬-১৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অমাবস্যার জোয়ার : আগামী ২১ আগস্ট অমাবস্যা ঘিরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে সৃষ্ট জোয়ারে পানি ঢুকবে নদ-নদীগুলোয়। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি যোগ হলে বন্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি যদি একযোগে বাড়ে এবং জোয়ারের পানি এর সঙ্গে যোগ হলে ১৯৮৮ সালের চেয়েও বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তবে পদ্মার পানি বাড়ার আগেই যদি ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যায় তাহলে বন্যা পরিস্থিতি ১৯৮৮ সালকে অতিক্রম করবে না। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের শিক্ষক ও পানি বিশেষজ্ঞ নঈম গওহর ওয়ারা বলেন, ‘১৯ আগস্ট পর্যন্ত বন্যার পানি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।