ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি

Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি গত মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোরা’। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ছাড়াও উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ সকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, বিরাজমান ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরে দেশের চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এসময় এর গতিবেগ ঘন্টায় ৮৮ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে।

বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ বজলুল রশিদ জানান, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এটা আজ সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে পরবর্তী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথ

আবহাওয়ার সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
এদিকে আজ সকাল থেকে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে মেঘলা ও থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার দুপুরে ও রাতে বিভাগের কয়েকটি জেলায় সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও বরিশালে হয়নি।তাপ প্রবাহ অনেকটা কমেছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে  এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরেে সূত্র জানায়, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা থেকে ক্রম অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর এর নাম হয়েছে ‘মোরা’ (MORA)। এটি থ্যাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম।

সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং পরদিন তা ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’য় রূপ নেয়। পরে সেটি দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে।

আরো পড়ুন…

এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আঘাত হানতে পারে কাল