• Home  / 
  • অপরাধ  / 

হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরিঃ ৪ দিনের মাথায় উদ্ধার বরগুনার ৩ জন গ্রেপ্তার

Spread the love

বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতাল থেকে গত ৪ জুন  চুরি হওয়া সদ্যপ্রসূত শিশু তাসকিন আকনকে অবশেষে  উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের-৮ (র‌্যাব) সদস্যরা।

বুধবার রাত ৩ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও শিশুটিকে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে  রিনা গেম ও সোলায়মান হোসেন নামে দুজনকে  গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে  র‌্যাবের বরিশাল সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি গণমাধ্যমকে অবহিত কন অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামান।’

এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরগুনার আমতলী উপজেলার আমতলা গ্রামের গফুর হাওলাদারের ছেলে মো. সোলায়মান হোসেন (২৮) ও তার স্ত্রী  রিনা বেগম (২২) এবং রিনার মা বরগুনার তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের ইউনূস আলীর স্ত্রী  হাওয়া বিবি (৪৫)।

উদ্ধারের পর শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হল তার বাবা-মায়ের কাছে, মায়ের কোলে শিশুটি পাশে তার বাবা

র‌্যাব জানায়- মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার খোরাকী গ্রামের বাসিন্দা আনেয়ার হোসেন তাঁর সন্তান সম্ভাবা  স্ত্রী সালমা বেগমকে (২৩) গত ১জুন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালের প্রসুতি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।   কিন্তু ওয়ার্ডের স্থান না সংকুলান না হওয়ায় বারান্দার মেঝেতে শয্যা পান। ওই দিন তিনি অস্ত্রোপচারের  মাধ্যমে সালমা বেগম একটি ছেলে সস্তান ্রসব করেন।   তার নাম রাখা হয় তাসকিন আকন।

গত ৪ জুন ওই সদ্যজাত শিশুটিকে পাশে চিকিৎসাধীন রিনা বেগমের মা হাওয়া বিবি  কোলে নিয়ে আদর করার ছলে  তার মেয়ে ও জামাইয়ের সহযোগিতায় পালিয়ে যান।

এই ঘটনায় ওই দিনই বরিশাল  কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা মো. আনোয়ার হোসেন। পরে পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে বরিশাল র‌্যাবকে অবহিত করেন তিনি। যে কারণে শিশুটির সন্ধানে ব্যাপক তৎপরতা চালায় র‌্যাব।

পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি বিশেষ দল ওই চুরির ঘটনায় মূল হোতা  হাওয়া বিবিকে চিহ্নিত করে বরগুনার তালতলী উপঝেলার নলবুনিয়া থেকে  থেকে গ্রেপ্তার করে।  পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে  বুধবার রাত ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে   নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা  থেকে শিশু তাসকিন আকনকে উদ্ধার করে র‌্যাব। একইসঙ্গে আটক করা হয়  মো. সোলায়মান হোসেন ও তার স্ত্রী  রিনা বেগমকে। নিঃসন্তান রিনা ও সোলায়মান দম্পতি পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে চুরি করে স্বীকার করে। 

সংবাদ সম্মেলন শেষে শিশুটিকে তার বাবা মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির ও কোম্পানি কমান্ডার আছান আলী উল্লেখযোগ্য।”