আয়না২৪ প্রতিবেদন
যশোরের নওয়াপাড়া থেকে কবি, কলামিস্ট ও বুদ্ধীজীবী ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) সদস্যরা। র্যাবের-৬ অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার ভোরে প্রাতভ্রমণের জন্য বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি লেখক ফরহাদ মজহার। পরিবারের অভিযোগ, সোমবার ভোরে মোহাম্মদপুর আদাবরের ‘হক গার্ডেন’র নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে অপহরণ করা হয়।
আদাবর থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্য়াতা আলেয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান, ভোর পাঁচটা ছয় মিনিটের দিকে নিজ ফ্ল্যাট থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। পরে তাঁর নম্বর থেকে বেশ কয়েকদফা ফোন করে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়। তাঁকে ছাড়তে মুক্তিপণও চাওয়া হয়।
পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরহাদ মজহারের অপহরণের বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আদাবর থানার পুলিশ সদস্যরা লেখক ফরহাদ মজহারের ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন। এসময় কবির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে ফরহাদ মজহারের মুঠোফোনে অবস্থানের কথা জানতে পেরে সোমবার বিকাল ৪টা থেকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ইবরাহিম মিয়া সড়কের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালায় আইনশৃংখলা বাহিনী।
র্যাব ট্র্যাকিং করে ওই সড়কে এ অভিযান শুরু করে। ওই সড়ক থেকে একটি পরিত্যক্ত মাইক্রোবাস উদ্ধার করে র্যাব। রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত র্যাব-৬ এর নেতৃত্বে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা পাঁচটি বাড়িতে তল্লাশি সম্পন্ন করে।
তবে কোনো বাড়িতে ফরহাদ মজহারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগরের নোয়াপাড়া থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে র্যাব-৬ এর সদস্যরা।
র্যাব-৬-এর পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, যশোরে অভয়নগরের নোয়াপাড়া থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, খুলনা থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে ঢাকায় যাওয়ার সময় যশোরে অভয়নগরেরর নোয়াপাড়া থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়।