নরমাংশ খাদক দম্পতি!

অক্টোবর ১১, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ ডেস্কৎ

 রূপকথার গল্পে শোনা যায় আজও পৃথিবীর কোনও কোনও গহীন অরণ্যে ঘুরে বেড়ায় ‘হেড-হান্টার’ বা নরমুণ্ড শিকারিরা। শত্রুর মাথা কেটে নরমাংস-সহযোগে মহাভোজের আয়োজন করে তারা। কিন্তু এবার সত্যি সত্যি  খোঁজ মিলল এক নরখাদক দম্পতির। তাও কোনো গহীন অরণ্যে নয়, শহরে।  রাশিয়ার এক শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। প্রায় ৩০ জন মানুষ তাদের রাক্ষুসে ক্ষিদে মেটাতে প্রাণ দিয়েছেন!

‘ক্যানিবলিজম’ বা নরখাদকবৃত্তি নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে নানা সময়ে। সবচেয়ে উন্নত জীব মানুষ যে এমনটা করতে পারে, তা কল্পনাও করা যায় না। তবে এমন ঘটনাও পৃথিবীতে ঘটে, যখন মানুষ মানুষের মাংস খায়। রাশিয়ায় এমনই এক নরখাদক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দক্ষিণ রাশিয়ার ক্রাসনোদার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিমিত্রি বাকসিভ ও তার স্ত্রী নাতালিয়া বাকসিভাকে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় ৩০ জন মানুষকে খুন করে ভক্ষণ করেছে ওই দম্পতি। শুধু তাই নয়, খাওয়ার আগে মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলে রাখত তারা! 

এই ‘ক্যানিবল’ দম্পতি তাদের শিকারকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করত। তার পর জীবন্ত অবস্থায় তাদের ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হত। এই পৈশাচিক কর্মের পর মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলত তারা। তার পর শুরু হত নরমাংস সহযোগে মহাভোজ। দিমিত্রির বন্ধুরা জানিয়েছেন, তাঁদের কখনওই ঘরে ঢুকতে দিত না দিমিত্রি ও তার স্ত্রী। তবে ঘরের মধ্যে এমন ভয়াবহ কাণ্ড চলছে, তা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তাঁরা।

কিন্তু কী করে ধরা পড়ল ওই নরখাদক দম্পতি? পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রাসনোদার শহরের রাস্তায় একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। ওই ফোনেই একটি ছবি দেখে প্রায় ভিরমি খেয়ে যান পুলিশকর্মীরা।

ছবিটিতে দেখা যায়, একটি মানুষের শরীর থেকে মাংস খুবলে খাচ্ছে দিমিত্রি। তার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। মোবাইল ফোনের তথ্য ঘেঁটে দিমিত্রির সন্ধান পান তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় তাকে। বিবিসি সূত্রে খবর, পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ওই দম্পতি। রুশ সেনার একটি সৈন্য ঘাঁটিতে বেশ কিছুদিন কর্মরত ছিল ওই দম্পতি। এই পৈশাচিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় দেশ জুড়ে। রাশিয়ার অপরাধের ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন।

দাবি করা হচ্ছে, এই দম্পতি অন্তত ৩০ জন মানুষকে জীবন্ত ছিঁড়ে খেয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের সংবাদ অনুযায়ী, এই দম্পতি শুধু মানুষ খেয়েছে তাই নয়, সেই মাংস রাসায়নিক দিয়ে জারে রেখে তা পরে অন্যকেও খাইয়েছে।