• Home  / 
  • অপরাধ  / 

ছদ্মবেশে জঙ্গি কার্যক্রমঃ বরগুনা ও বরিশালের দুই যুবক নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার

Spread the love

 

আয়না২৪ প্রতিবেদন

ছদ্মবেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে জঙ্গি সারোয়ার তামিম গ্রুপের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে  বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বাগেরহাট জেলার শায়খ ইউশা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইমন (২৮), রাজশাহীর আনোয়ার হোসেন, বরগুনার মাহাবুবুর রহমান নাজমুল ওরফে উকিল রেশান ও বরিশালের কাউসার শিকদার ওরফে কাউসার বিন আবদুল আলীম মাসুদ শুভ (২৫)।

গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্প অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা নাশকতার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন খবর পেয়ে র‌্যাবের টিম আলাদাভাবে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও জঙ্গিবাদ বই লিফলেট।

কামরুল হাসান আরো জানান, শায়খ ইউশা ও আনোয়ার হোসেনকে রূপগঞ্জের চনপাড়া, মাহাবুবকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও কাউসারকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আনোয়ার হোসেন পেশায় মধু বিক্রেতা ও জেএমবির গায়েরে এহসার সদস্য। সে ২০০৪ সালে জেএমবিতে যুক্ত হয়। সে ছিল জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ। সে মূলত ২০১০ সাল থেকে মধু বিক্রি করত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। মাহাবুবুর রহমান ২০১৪ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়। সে ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

লাইটিং ব্যবসার আড়ালে করত সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ। কাউসার এলইডি বাতির ব্যবসা করে। দুই বছর আগে সে জেএমবিতে যোগ দেয়। ব্যবসার আড়ালে সে জেএমবি সদস্যদের নতুন বাসা ও মেস ঠিক করে দিয়ে সাহায্য করত।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত শায়খ আবু ইউশা মোহাম্মদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োজিত ছিল। সে জেএমবির এহসার সদস্য ও জেলায় জেএমবির সারোয়ার তামিম গ্রুপের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করত।