আয়না ২৪ ডেস্ক
গত জুনে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে কম্পিউটার ভাইরাস ছড়িয়ে একযোগে সাইবার হামলা সংঘটিত হয়েছিল। পেটয়্যা বা গোল্ডেনআই নামের ওই ভাইরাস ইউক্রেন থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল।এর এক মাস আগে ওয়ানাক্রাই র্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে একইভাবে দেড় শতাধিক দেশে একযোগে সাইবার আক্রমণ চালানো হয়েছিল।
এ র্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে বিভিন্ন দেশের তিন লাখের বেশি কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সাইবার অপরাধীরা। ওই দুই ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
তবে এরই মধ্যে গত শুক্রবার ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেশটির রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিখাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন সাইবার হামলা বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
গত ২৭ জুন পেটয়্যা র্যানসমওয়্যার আক্রমণে ইউক্রেনের সরকারি সংস্থা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাপক পরিসরে আক্রান্ত হয়েছিল। ইউক্রেন থেকে এ ভাইরাস বহুজাতিক বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের করপোরেট নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে। পূর্ব ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
তবে পেটয়্যা ভাইরাস আক্রমণে ইউক্রেন ও রাশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশ দুটি এখনো ওই আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেনি।
ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি) এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে আর্থিক সেবা খাতকে সুরক্ষিত করতে কাজ করছে।
বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক বড় কয়েকটি সাইবার আক্রমণ বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। অনেকেরই দাবি, সাইবার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করা হয়। তবে ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে বেশ অগ্রসর হয়েছে ইউক্রেন।
এ ভাইরাসের মাধ্যমে চালানো আক্রমণ পেটয়্যা র্যানসমওয়্যার আক্রমণের মতো হতে পারে। অর্থাৎ ইউক্রেনের সব গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।