আয়না২৪ প্রতিবেদন
আজ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আলেচিত এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ-বিএনপি দুদলের প্রার্থীদের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে বলে মনে করছেন ভোটারেরা।
নির্বাচনী পরিবেশ ‘উৎসবমুখর’ হলেও, যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো ভোটাররা কি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন? এই নির্বাচনে কি সাধারণ ভোটারদের মনোভাবের সত্যি-সত্যিই কোনও প্রতিফলন ঘটবে? প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ অবশ্য বলেছেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’’
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নারায়নগঞ্জে ভোট হচ্ছে মোট ১৭৪টি কেন্দ্রে। তার মধ্যে ১৩৭টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপ্রবণ। কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন চার লাখ ৭৬ হাজার। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার। আর নারী ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৩৫ হাজার। নতুন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। মেয়র পদ-প্রার্থী রয়েছেন ৭ জন।
‘নৌকা’ প্রতীক ছাড়াও আইভির পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজেরও একটা বড় ভূমিকা থাকার কথা এই ভোটে। অন্য দিকে, বিএনপির সমস্যা হল, তাদের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান রাজনৈতিক পরিসরে কম পরিচিত। তাঁর প্রতিপক্ষ আইভি ২০১১ সালে শুধু মেয়রই হননি, পাঁচ বছর দক্ষতার সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন পরিচালনাও করেছেন। বিএনপির নেতারা অবশ্য মনে করছেন, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যত শক্তিশালীই হোন, এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ‘নৌকার’ বিপক্ষে ‘ধানের শীষে’র জোয়ার আসবে।’’ অন্য দিকে আওয়ামীলীগের নেতাদের ধারণা, ‘‘আইভি গত পাঁচ বছরে যে কাজ করেছেন, তাতে ধানের শীষের পক্ষে জোয়ার আসার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেছেন, ‘‘নির্বাচনে কেউ ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়বে।
সাধারণ ভোটারদের মতামত হল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোন বাহিনীর কত জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে না পারে, সেটা সুনিশ্চিত করা।’’