আয়না২৪ ডেস্ক
জর্ডানের দক্ষিণাঞ্চলে রোববার বন্দুকধারীদের হামলায় কানাডার এক পর্যটকসহ ১০ জন নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাল্টা হামলায় চার হামলাকারী নিহত হয়েছে।কারাকে এই হামলা চালানো হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।কারাক একটি পর্যটন কেন্দ্র। এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ক্রুসেডার ক্যাসেল হিসেবে পরিচিত। রাজধানী আম্মান থেকে প্রায় ১শ ২০ কিলোমিটার (৭০মাইল) দক্ষিণে কারাক অবস্থিত।
জর্দানের জেনারেল সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, উপর্যুপরি বন্দুক হামলায় সাত পুলিশ, কানাডার এক নারী পর্যটক ও দুই জর্ডানী বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।এতে আরো বলা হয়, এই ঘটনায় পুলিশ ও বেসামরিক লোকসহ আরো ২৭ জন আহত হয়েছে।
এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, হামলার পর চার হামলাকারী দুর্গের ভেতরে আশ্রয় নেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। কয়েক ঘন্টার বন্দুকযুদ্ধের পর রোববার রাতে হামলাকারীরা নিহত হয়।
কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, এই হামলায় দেশটির এক নাগরিক নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে।
তাঁরা একে ‘জঘন্য হামলা’ বলে বর্ণনা করেন।
আম্মানে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ‘কানাডিয়ান সরকার এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে জর্ডানকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
জেনারেল সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বার্তা সংস্থা পেত্রাকে জানায়, বিকেলে কারাকের একটি বাড়িতে টহল পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে প্রথম হামলাটি চালানো হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘টহল পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা বাড়িটির ভেতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যান।’ পরে বন্দুকধারীরা ক্রুসেডার ক্যাসেলের বাইরে ও ভেতর থেকে পুলিশ স্টেশন লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও পথচারী আহত হয়। এ সময় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দুর্গটিকে ঘিরে ফেলে বন্দুকধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের হত্যা করে।
তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার জন্য কারা দায়ী তা জানা যায়নি। তবে এর আগে জর্দানে ইসলামপন্থীরা হামলা চালিয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যে জোট লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, জর্দান তার প্রথম সারির সদস্য।