আয়না২৪ ডেস্ক
প্রতিদিন টাকা ছাড়া চলা আমাদের জন্য অসম্ভব। নিত্য প্রয়োজনে আমরা প্রতিদিন পরিচিত-অপরিচিত লোকদের সাথে টাকা লেনদেন করি। টাকা লেনদেন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের অনেকের পকেটে জাল টাকা চলে আসে। প্রতিদিন টাকা ছাড়া চলা আমাদের জন্য অসম্ভব। নিত্য প্রয়োজনে আমরা প্রতিদিন পরিচিত-অপরিচিত লোকদের সাথে টাকা লেনদেন করি। টাকা লেনদেন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের অনেকের পকেটে জাল টাকা চলে আসে। ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট আসল না জাল, তা চেনার চার উপায় বের করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে- নিরাপত্তা সুতা, রং পরিবর্তনশীল কালি, অসমতল ছাপা এবং অতি সূক্ষ্ম আকারের লেখা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
০১। নিরপত্তা সুতাঃ ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটেই মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটের মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে মুদ্রিত আছে। নোট চিত করে ধরলে নিরাপত্তা সুতায় মূল্যমান লোগো দেখা যাবে। এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত বা নোটের কাগজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে উক্ত নিরাপত্তা সুতা কোনক্রমেই উঠানো সম্ভব নয়। কিন্তু জালনোটে নিরাপত্তা সুতা সহজেই নখের আঁচড়ে বা মুচড়ানোতে উঠে যাবে। জালনোটের সাধারণত সুতার পরিবর্তে রং ব্যাবহার করা হয়। তাই আপনি দেখা মাত্রই ধরে ফেলতে পারবেন টাকাটি জাল নাকি আসল!!
০২। রং পরিবর্তনশীল কালি : ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমান নোট এদিক-ওদিক করলে রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত অংশ সোনালি থেকে সবুজ এবং ৫০০ টাকা মূল্যমান নোটে এটি লালচে থেকে সবুজ হবে। তাছাড়া ১০০০ টাকা মূল্যমান নোটের পেছনে বামদিকে থাকা হালকা নীল রঙের বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাটিও নোট এদিক-ওদিক করলে দেখা যাবে। কিন্তু ফটোকপি বা অফসেটে ছাপা জাল নোটের ক্ষেত্রে এ রঙের পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হবে না।
০৩। অসমতল ছাপাঃ জাল নোট চেনার জন্য এটি সর্বাধিক পরিচিত এবং সবচেয়ে সহজ ম্যাধ্যম। যাদের চোখের সমস্যা বা অন্ধ,তাদের জন্য এই নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
১০০, ৫০০, ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের সম্মুখ ও পশ্চাৎ পৃষ্ঠের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান এবং ৭টি সমান্তরাল সরলরেখা উঁচু-নিচু (খসখসে) ভাবে মুদ্রিত আছে। তাছাড়া, নোটের ডানদিকে ১০০ টাকার নোটে ৩টি, ৫০০ টাকার নোটে ৪টি এবং ১০০০ টাকার নোটে ৫টি ছোট বৃত্তাকার(আড়া-আড়ি) ছাপ আছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু (খসখসে) অনুভূত হয়। এ সকল বৈশিষ্ঠ্য জালনোটে সংযোজন করা সম্ভব নয়। উঁচুনিচু খসখসে ছাপ থাকলেই বুঝতে পারবেন যে এটি আসল নোট। আর যদি খসখসে না থাকে,তবে সেটি জাল নোট।
০৪।অতি সূক্ষ্ম আকারের লেখা : ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমান নোটের পেছনের পিঠের ডিম্বাঙ্কিত অংশে অতি সূক্ষ্ম আকারে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাগুলো আতশী কাচ ছাড়াও উন্নতমানের স্মার্ট মোবাইল ফোনের ক্যামেরা প্রয়োজন মতো জুম করে দেখা যাবে। কিন্তু জাল নোটের ক্ষেত্রে এটি দেখা যাবে না।
নোট জালকারীচক্রের প্রতারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন এবং এসকল নোট জালকারীকে ধরিয়ে দিন। আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নিজে জানুন এবং অপরকে জানতে সহায়তা করুন। ব্যাংক নোটের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হোন।
পাশাপাশি আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে টাইমলাইনে রাখুন। হয়তোবা কোন একদিন আপনার অথবা আপনার পরিচিত কারো এই পোস্ট’টি প্রয়োজন হতে পারে।