আয়না২৪ সংবাদাতা
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদারীপুরের পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ শিকারও বিক্রি দুটোই চলছে সমানতালে। আবার নদীর তীরেই বসছে ইলিশের হাট। ভরা প্রজনন মৌসুমে এসব মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ স্থানীয়ভাবে বিক্রি হচ্ছে পানির দামে। পাশাপাশি পানির দামে এসব ইলিশ কিনতে সকাল-সন্ধ্যা পদ্মাপাড়ে ক্রেতাদের ভিড় তো লেগেই আছে।
জানা গেছে যে, ইলিশের এই ভরা প্রজনন মৌসুমে প্রতিবছরই মা ইলিশ ডিম ছাড়তে ছুটে আসে পদ্মায়।
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাতে জেলেরা ইলিশ শিকার না করতে পারে সে জন্য চলছে অভিযান। নিষিদ্ধ সময়েও থেমে নেই শিবচরের চারজানাত বন্দরখোলা ও কাঁঠালবাড়ি এলাকার পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার। দেদারছে ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। চরাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ডিমভর্তি মা ইলিশ।
জানা যায়, অনেক সময় আবার প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি করতে না পারায় খুবই অল্প দামে জেলেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। মাঝে মাঝে পুলিশ জেলেদের আটক করলেও পরে অর্থ আদায় করে ছেড়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ দিনের মধ্যে মাত্র এক দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পদ্মা নদীতে অভিযানে নামে। গত বুধবার অভিযান চালিয়ে ২৪ জেলেকে জেল ও জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, হলদিয়া গ্রামে ১৫-১৬ বছরের এক কিশোরকে প্লাস্টিকের বস্তায় করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। এক গৃহবধূ ছোট-বড় মিলিয়ে ২৩টি ইলিশ কেনেন ৫০০ টাকায়। যার ওজন ছিল পাঁচ কেজি। টাকার হিসাবে এক কেজি ইলিশের দাম পড়ে ১০০ টাকা।
মাদারীপুরের পদ্মা পাড়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় চরাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
অপরদিকে জেলেদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত ইলিশ মাছ এখন পর্যন্ত কোনো এতিমখানা বা লিল্লাহ বোর্ডিংয়েও দেয়া হয়নি। তাহলে প্রতিনিয়ত উদ্ধার হওয়া এসব ইলিশ কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্নও রয়েছে স্থানীয়দের মনে।
সূত্র মতে, নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ শিকার বন্ধে পদ্মায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী অভিযান চালিয়ে থাকে। তবে দূর্গম অঞ্চলগুলো প্রায় সময়ই অভিযানের বাইরে থেকে যায়।