আয়না২৪ খেলা
১৪তম এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। তাও আবার শেষ বলে।
শেষ বলে এসে মীমাংসা হওয়া ম্যাচে শুক্রবার ভারত জিতেছে ৩ উইকেটে। তবে স্কোর বোর্ড দেখে বোঝার উপায় নেই, লো স্কোরিং এই ম্যাচেও কতটা উত্তেজনা ফিরিয়ে এনেছিলো টাইগার বোলাররা।
শুক্রবার এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তিন উইকেটে হেরে গেল টাইগাররা। এশিয়া কাপে এবার তৃতীয়বারের মতো রানার্স আপ হলো বাংলাদেশ। আর সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছয়টি বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলে শিরোপা বঞ্চিত হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেয়া ২২৩ রানের টার্গেটে পৌছতে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে। অল্প পুঁজি নিয়েও প্রতিপক্ষকে এমন নাকানি চুবানি দিতে পারার সমস্ত কৃতিত্ব মাশরাফির বোলিং ডিপার্টমেন্টের, তবে সেই সাথে আরো একটি লেখা হলো আক্ষেপের গল্প। পুঁজিটা আর একটু বড় হলেই কী শুক্রবারের রাতটা অন্য রকম হতে পারতো!
এই প্রশ্নের উত্তর জানা সুযোগ নেই, তবে টাইগাররা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ের যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তাতে স্কোরটা আরেকটু বড় হলে ভারতকে বাগে আনা সম্ভব হলেও হতে পারতো।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রোহিত শর্মা। ৩৭ রান করেন দিনেশ কার্তিক। ৩৬ রান করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, রুবেল হোসেন ২টি, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১টি, নাজমুল ইসলাম অপু ১টি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১টি করে উইকেট নেন।
টস জিতলেই ফিল্ডিং। নিদাহাস ট্রফিতে সব দলের যেন এই একটিই মন্ত্র হয়ে যায়। টার্গেট অতিক্রম করার দিকেই যেন তাগিদ দেখা যায়। ফাইনাল ম্যাচেও ভারতও টস জিতেই নেয় ফিল্ডিং। টার্গেট সহজেই অতিক্রমও করে। কোথায় ‘নাগিন নাচে’ উৎসব হবে ভাবা হয়েছে। সেখানে ভারত সমর্থকরা শুরু থেকেই এই নাচে মেতে ওঠেন। তাতে সমর্থন দেন শ্রীলঙ্কান দর্শকরাও। শেষদিকে ভারত ও শ্রীলঙ্কান সমর্থকদের সেই নাচ থেমেও গিয়েছিল। উল্টো বাংলাদেশ সমর্থকরা ‘নাগিন নাচে’ মাতে। কিন্তু কার্তিক সেই নাচ অবিশ্বাস্য ছক্কায় থামিয়ে দেন। সর্বনাশ ডেকে আনল বাংলাদেশের।
শেষ ওভারে ৬ রান দূরে ছিল ভারত। কিন্তু মূল বোলারদের কারও হাতে বল দেওয়া যাচ্ছে না। নিদাহাস ট্রফির মতোই মেহেদী হাসান মিরাজে ভরসা পেল না বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর ঘাড়ে পড়ল সে দায়। প্রথম তিন বলে এল চার রান। চতুর্থ বলে ডটের পর পঞ্চম বলে ১ রান। শেষ বলের উত্তেজনার সামনে সবাই। কী হয়, কী হয়! কিন্তু মাহমুদউল্লাহ বলটা ফেললেন লেগ স্টাম্পে। পায়ের ক্রাম্প নিয়েও ফেরত আসার যাদবের সে বল পেছনে ঠেলে দিতে কোনো অসুবিধা হলো না। আরেকটি ফাইনাল আরেকটি আক্ষেপের গল্প লিখেই শেষ করল বাংলাদেশ।