বিশেষ প্রতিবেদক
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, জনগনের চায়ের কাপে ঝড় যেন ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে! বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনেও নির্বাচনী হাওয়া বইছে পুরোদমে। তবে এ আসনের বিভিন্ন বিতর্কিত প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপ যেমন আছে তেমনি পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থীও আছেন। তরুণ প্রজন্ম এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তনের যে আকাংখা লালিত হয়ে আসছে সেই আকাংখায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন আওয়ামীলীগের তরুণ এক নেতা। নিজের ব্যক্তিত্ব, মননশীলতা এবং সৃজনশীল চিন্তাধারার মধ্যদিয়ে তিনি নিজেকে অনন্য করে তুলেছেন।
তিনি গোলাম সরোয়ার টুকু। বরগুনার তরুণ প্রজন্মের কাছে এক অনুকরনীয় তরুণ, মেধাবী, সৃজনশীল রাজনীতিক। মার্জিত ব্যক্তিত্বের অধিকারি সরোয়ার টুকু রাজনীতিতে সাহসী, পরিচ্ছন্ন ভূমিকার কারণে জেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সমাদৃত।তুখোড় বক্তা হিসেবে তিনি তাঁর রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছেন সেই ছাত্র রাজনীতির সূচনা থেকে। তিনি একাধারে বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে এই কলেজের ছাত্র সংসদের দুবার ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের্। কাউন্সিলরদের বিপুল ভোটে তিনি জয়ী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হন। তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলী, অপরিসীম সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে তৎকালীন সময়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ পরিণত হয় দেশের সবচেয়ে আদর্শ ও শক্তিশালী সংগঠনে।
৯০-এর ছাত্র আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।এসব কারণে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সফল সভাপতি হিসেবে গোলাম সরোয়ার টুকুর নামটি এখনো সবার মুখে গৌরবের সঙ্গে উচ্চারিত হয়। শুধু তাই নয়। জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েই তিনি ছাত্ররাজনীতির ইতি টানেননি । তিনি যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন জাতীয় রাজনীতিতেও। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে দেশের সবগুলো জেলা-উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে অনন্য অবদান রাখেন। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয় সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সেই ধারাবহিকতা অব্যাহত রাখেন।
গোলাম সরোয়ার টুকু জাতীয় পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতিতে উজ্জ্বল অবদান রাখার পর ফিরে আসেন তাঁর প্রিয় জন্মস্থল বরগুনায়। তিনি সক্রিয় হন বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। ২০০৫ সালে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দলকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জেলা সম্মেলনে তিনি পুনরায় একই পদ পান।
ছাত্র রাজনীতির সূচনালগ্ন থেকেই গোলাম সরোয়ার টুকু নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মুখোমুখি হয়েছেন। বৈরি আর অসুস্থ ভোগবাদী ধারার রাজনীতির বাইরে একটি সুস্থ, মেধাবী ও জনবান্ধব, দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক ধারা প্রবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে অসীম সাহসীকতা আর পরম ধৈর্য্যের সঙ্গে সমস্ত প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করেছেন। রাজনীতি কন্টকাকীর্ণ খাদ বেয়ে পোড় খাওয়া এই তরুণ রাজনীতিক শ্রম-ঘামের নাভীমূলে নিজেকে নির্মাণ করেছেন শক্তিশালী এক দক্ষ রাজনীতিক হিসেবে।
ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় থাকা অবস্থায়ই তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। এর প্রমান মেলে ২০০১ সালে। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থী হন।ওই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্তদ
জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নিবিড় কারিগর গোলাম সরোয়ার টুকু এখন এই জনপদের মাটি ও মানুষের অনবদ্য নেতা। তরুণ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা।
বঙ্গবন্ধুর সুমহান আদর্শে অনুপ্রাণীত এই রাজনীতিক বরগুনা-আমতলী-তা
গোলাম সরোয়ার টুকু এ প্রসঙ্গে বলেন, বরগুনার সাধারণ মানুষ দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব একজন জনপ্রতিনিধি চায়। সাধারণ মানুষের সেই আকাংখা পূরণের লক্ষে আমি কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য বরগুনার মানুষের পাশে থেকে সারাজীবন কাজ করতে চাই। আশাকরি জননেত্রী, দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনার মানুষের এই আকাংখার কথা জানেন এবং সেই লক্ষে আগামী নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়নে তার প্রতিফলন ঘটবে।