খলিল জিবরানঃ আত্মা ও হৃদয় জাগরণের পঙক্তি

Spread the love
রহমান রাকিব
প্রকৃত নাম  খলিল জিবরান। যিনি পশ্চিমা বিশ্বে কাহলিল জিবরান নামে পরিচিত। কবিতা ছাড়াও জিবরানের গভীর দখল ছিল গদ্যে। ছিলেন মিসটিক চিত্রকর, পাথর ভাঙার কলা-কৌশল শেখার জন্য গিয়েছিলেন প্যারিসে। তিনি  লিখেছেন আরব সঙ্গীতের ওপর ডিসকোর্স। তিনি একাধারে  কবি, দার্শনিক ও চিত্রকর ছিলেন। গভীর দৃষ্টিভঙ্গী, অতীন্দ্রিয় অনুভূতি ও রহস্যের রূপক গল্পকার হিসেবে তিনি অতি দ্রুতই সাফল্যের চূড়ান্ত  পৌছে যান। ক্ল্যাসিক বই ‘দ্য প্রফেট’ এর লেখক জিবরানের অন্যতম সৃষ্টি। 
লেবাননের  চিরহরিৎ বনভূমির কাছাকাছি বিসারীতে জিবরানের জন্ম ১৮৮৩ সালের ৬ জানুয়ারি।  পাহাড়ি পল্লির  ম্যারোনাইট খ্রিষ্টান পরিবারে জন্ম নেওয়া জিবরানের  বাবার নামও  খলিল জিবরান। তিনি নিজের নামে ছেলের নাম রেখেছিলেন, খলিল জিবরান।  মায়ের নাম  কামিলা রাহমাহ। কামিলার বাবা ছিলেন একজন পাদ্রি। জিবরান তার মা-বাবার তৃতীয় সন্তান। জিবরানের বাবা ছিলেন তাঁর মায়ের তৃতীয় স্বামী।  অভাব-অনটনের কারণে ছোটবেলায় জিবরানের স্কুলে যাওয়া হয়নি। একা  তিনি পাহাড়-জঙ্গল ঘুরে বেড়াতেন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গভীরভাবে  উপভোগ করতেন।পরিণত বয়সে  তাঁর লেখা এবং ছবি আঁকায়, পাহাড়, পর্বত ও প্রকৃতির স্পষ্ট প্রভাব  লক্ষ করা যায়।

জিবরানের মা কামিলা ছিলেন রক্ষণশীল খ্রিষ্টান পরিবারের মেয়ে। তাই তাদের বাড়িতে ধর্মশিক্ষাদানের জন্য 
একজন পাদ্রির আনাগোনা ছিল। ওই পাদ্রির কাছে ভাসা ভাসাভাবে জিবরান বাইবেলের পাশাপাশি ইতিহাস, বিজ্ঞান ও আরবি ভাষা শেখেন।  ১০ বছর বয়সে খাড়া পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে ঘাড়ের বাঁ দিকে মারাত্মক জখম হন জিবরান। সময়মতো সঠিক চিকিৎসার অভাবে আর কোনোদিন তাঁর ঘাড়ের বাম দিক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। 
 বাবা প্রথম দিকে একটি ওষুধ কারখানায় কাজ করতেন। তার জীবন ছিল খুবই ছন্নছাড়া ও অগোছালো। তিনি জুয়ায় আসক্ত ছিলেন, এজন্য সব সময় থাকতেন ঋণগ্রস্ত। পরে তিনি  অটোম্যান আঞ্চলিক সরকারি কর্মকর্তার অধীনে কাজ নিয়েছিলেন। তখন লেবানন  ছিল সিরিয়ার অঙ্গীভূত। আর সিরিয়া ছিল অটোম্যান সাম্রাজ্যের আওতায়। জিবরানের জন্মের সময় তার মায়ের বয়স ছিল ৩০। জিবরানের বয়স যখন মাত্র আট, তখন কর ফাঁকির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তার বাবা। এ জন্য তাকে  জেলে যেতে হয়। ওই মামলায় তার সমস্ত সম্পত্তি সরকার বাজেয়াপ্ত করে। ফলে কামিলা জিবরান, জিবরানের সৎভাই পিটার এবং দুই বোন মারিয়ানা ও সুলতানাকে নিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েন কামিলা। কামিলা ঘুরেফিরে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তখন জিবরানের এক মামা থাকতেন আমেরিকায়। ভাইয়ের পথ অনুসরণ করে ভাগ্য বদলের আশায় অনেক সাহস নিয়ে কামিলা ১৮৯৫ সালের ২৫ জুন ছেলে-মেয়েদের নিয়ে জাহাজে করে বৈরুত থেকে  নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন। তার কিছু দিন আগে জিবরানের বাবা জেল থেকে ছাড়া পান ঠিকই, কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তিনি পরিবারের সঙ্গে আমেরিকা না এসে লেবাননেই থেকে যান।

জিবরানের মা আমেরিকায় এসে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ঐতিহাসিক বোস্টন শহরের দক্ষিণ প্রান্তে বসতি স্থাপন করেন। ওই সময় দক্ষিণ বোস্টনে জিবরানের মামাসহ আরবি ভাষাভাষী অনেক সিরিয় ও লেবানিজ লোক থাকতেন। অন্য সিরিয় নারীদের সঙ্গে জিবরানের মা একটি পোশাক তৈরির কারখানায় সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে লেইস ও লিনেন দ্রব্যাদি বিক্রি করতে থাকেন। আমেরিকা আসার দুই মাস পর ১৮৯৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ‘খলিল জিবরান’  পাড়ার এক স্কুলে ভর্তি হন। সে সময় ভুলবশত স্কুলের নিবন্ধন বইয়ে তার নাম খলিল জিবরানের  বদলে ইংরেজি উচ্চারণে ‘কাহলিল জিবরান’ লেখা হয়। এভাবে তার বাবার দেওয়া আসল নাম বিকৃত হয়ে তিনি হয়ে গেলেন কাহলিল জিবান। অবশ্য  জিবরানও পরে আর সেই নাম শোধরানোর  তাগিদবোধ  করেননি।




জিবরানের  প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ছিল না বলে,  অন্যান্য সব অভিবাসী ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ইংরেজি শেখার জন্য তাকে একটি বিশেষ ক্লাসে ভর্তি করা হল। ছোটবেলা থেকেই জিবরান  খুব নিখুঁত ছবি আঁকতে পারতো। স্কুলে ভর্তির পর তার এই বিরল প্রতিভা অচিরেই বিদ্যালয়ের  শিক্ষকদের নজরে আসে। স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তায় জিবরানের যোগাযোগ হয় তখনকার  বোস্টনের এক বিখ্যাত ফটোগ্রাফার ফ্রেড হল্যান্ড ডের সঙ্গে। ফ্রেড ডে জিবরানকে এতই পছন্দ করে ফেলেন যে তিনি জিবরানের মতো খুদে প্রতিভাকে লুফে নেন এবং জিবরানের মেন্টরের দায়িত্ব নেন। ফ্রেড ডে জিবরানকে বলতেন ‘ন্যাচার‌্যাল জিনিয়াস’। ফ্রেড ডের উৎসাহে এবং আনুকূল্যে জিবরান বইয়ের প্রচ্ছদ  ডিজাইন, গল্প ইলাস্ট্রেশন এবং ছবি আঁকার কাজ পেতে থাকলেন। এভাবে ছবি আঁকা ও চিত্রশিল্পের জগতের সিংহদ্বার  সহজেই খুলে গেল জিবরানের।
 
খলিলের  সৃষ্টিশীল বোস্টন-লাইফের শুরুতেই  আকষ্মিক ছেদ পড়ে যায়। কী মনে করে বিশুদ্ধ আরবি শেখার জন্য জিবরান ১৮৯৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে  ফিরে যান  লেবাননের রাজধানী বৈরুতে।  গিয়ে ভর্তি হন ‘মাদরাসাতুল হিকমায়’। সেখানে আরো কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় আরবি ভাষায় একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা  শুরু করেন কিশোর জিবরান।এরপর চার  বছর বৈরুতে থাকার পর  ১৯০২ সালের ১০ মে আবার বোস্টনে ফিরে আসেন। কিন্তু দুর্বাগ্য তার ফিরে আসার  দুই সপ্তাহ আগে  জিবরানের ১৪ বছর বয়সী বোন সুলতানা  যক্ষ্মা রোগে মারা যায়। পরের বছর তার ভাই পিটারও মারা যায় একই রোগে। একই বছর জিবরানের মাও মারা যান ক্যান্সারে। পরিবারের সবাইকে হারানোর পর কিশোর জিবরানের জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা।  তার বড় বোন মারিয়ানা সেলাইয়ের কাজ করে তাদের দুজনের সংসার চালাতেন। বৈরুত থেকে ফিরে এসে জিবরান, ফ্রেড ডের সঙ্গে পুরো উদ্যমে পুনরায় পেইন্টিংয়ের কাজ  শুরু করেন। ১৯০৪ সালে ফ্রেড ডের স্টুডিওতে তার প্রথম চিত্র প্রদর্শনী  হয় । এরপরই চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে চিত্রশিল্পী হিসেবে জিবরানের খ্যাতি। এ প্রদর্শনীতে জিবরানের সঙ্গে প্রথম  পরিচয় হয় মেরি এলিজাবেথ হ্যাস্কেল নামে এক নারীর। মেরি হ্যাস্কেল ছিলেন স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। মেরির সঙ্গে অচিরেই গড়ে ওঠে জিবরানের বন্ধুত্ব। মেরির আগ্রহে এক সময় এই সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে গড়ায়, তবে প্রেম ছিল অনেকটা একতরফা। মেরি বিভিন্ন সময় জিবরানকে বিয়ে করতে চেয়েছেন। কিন্তু বার  বার জিবরান তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন  ‘আমি বিবাহযোগ্য নই।’ তবু মেরি হ্যাস্কেল নিজের টাকায় জিবরানকে দুই বছরের জন্য প্যারিস পাঠিয়েছিলেন বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী অগস্ত রোদ্যাঁর (১৮৪০-১৯১৭) সঙ্গে  আর্ট শেখার জন্য।
জিবরানের শিল্পীজীবন ও তাঁর সফলতার ওপর মেরি হ্যাস্কেলের অবদান ও প্রভাব খুব। জিবরানের প্রতি মেরির প্রেম পরিণতি না পেলেও তাঁদের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্ব নিখুঁতভাবেই বহাল ছিল জিবরানের মৃত্যু অবধি।

খলিল জিবরানের প্রথম দিকের লেখা সবই আরবিতে। ইংরেজিতে তাঁর প্রথম বই ‘দি ম্যাড ম্যান’ বের হয় ১৯১৮ সালে। ১৯২০ সালে তিনি নিউ ইয়র্কে ‘সোসাইটি ফর অ্যারাব রাইটারস’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে প্রথম বের হয় তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দি প্রফেট’। জিবরানের অন্যান্য বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘স্যান্ড অ্যান্ড ফোম’, ‘জেসাস, দি সান অব ম্যান’ ইত্যাদি। 
১৯১২ সাল। ওই বছর  জিবরান বোস্টন ছেড়ে নিউইয়র্ক শহরে  স্থায়ীভাবে বসবাস  শুরু করেন। ১৯৩১-এর ১০ এপ্রিল লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে নিউইয়র্কেই তাঁর জীবনাবসান হয়। জিবরানের শেষ ইচ্ছানুযায়ী তার মরদেহ লেবাননের বিসারির  নিভৃত পল্লিতে নিয়ে সমাহিত করা হয়। জিবরানের কথা মতো, তার এপিটাফে লেখা আছে, ‘A word I want to see written on my grave : I am alive like you, and I am standing beside you. Close your eyes and look around, you will see me in front of you.’
ক্ষণজন্মা জিবরানের  বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দি প্রফেট’। নবী আল মুস্তফা এর প্রধান চরিত্র। এতে তিনি  আল মুস্তফাকে সত্যপথের দিশারী হিসেবে উল্লেক করেন। লিখেন-

‘কোনো এক দ্বীপদেশের এক অগ্রগামী অগ্রদূত, দেশ ছেড়ে অনেক দূরে প্রবাসে থাকেন, স্বপ্ননগরী ওরফালেসে। অগ্রদূত একজন মহাপুরুষ। তিনি তার প্রভুর প্রিয়পাত্র এবং সঠিক সত্যপথের অনুসারী। তার নাম আল মুস্তাফা। আল মুস্তাফা, ওরফালেসে এসে যখন সত্য প্রচার শুরু করেন, তখন যে ব্যক্তি প্রথম তার কথায় আস্থা রেখে তার ভক্ত অনুসারী হলেন, তিনি একজন নারী। তার নাম আল মিত্রা। প্রবাসজীবনে আল মুস্তাফা, ওরফালেস মহানগরে সাধারণ মানুষদের সাথে অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন। তাদের সুখ-দুঃখ নিজের সাথে ভাগাভাগি করে নেন, সময় সময় তাদের বুদ্ধি-পরামর্শ দেন এবং এভাবে অল্প দিনেই তিনি অসংখ্য গণমানুষের হৃদয়ে নিজের স্থান চিরস্থায়ী করে নেন। 

ওরফালেসে ১২ বছর বসবাসের পর স্বদেশে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আল্ মুস্তাফা যেদিন জাহাজে উঠতে যাবেন, সেদিন তার অনুসারী লাখ লাখ নগরবাসী তাকে বিদায় জানাতে দলে দলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত সাগরপারের ধর্মশালার সামনে জনমানুষের জমায়েত রূপ নেয় এক জনসমুদ্রে। বিদায় বেলায় প্রাণপুরুষকে কাছে পেয়ে নগরবাসী একে একে উত্থাপন করে রহস্যময় জীবন-জিজ্ঞাসার নানা প্রসঙ্গ। আর তিনি উদাহরণ ও গল্পের ছলে তাদেরকে বোঝান অর্থপূর্ণ মানব জীবনের বিভিন্ন দিক। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসে ভালোবাসা ও ঘরসংসারের কথা। ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজকর্ম, ছেলেমেয়ে, খাওয়া-পরার কথা। সমাজ, ন্যায়-অন্যায়, আইনকানুন, বিচার-সালিসের কথা। সৌন্দর্য, আনন্দ, জীবন-মৃত্যু, ধর্ম ও প্রভুর কথা। আলোচনা শেষে আল মুস্তাফা ধীরে ধীরে গিয়ে জাহাজে ওঠেন। জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ জনতার মুখোমুখি হয়ে তাদের উদ্দেশ্যে উঁচুস্বরে তিনি তার বিদায়বেলার শেষ বক্তব্য রাখতে থাকেন। জাহাজ আস্তে আস্তে সমুদ্রতীর থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। আল মুস্তাফার কণ্ঠস্বর বাতাসে ভেসে আসে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণ হয়ে। ততক্ষণে ওরফালেসবাসী যার যার বাড়িঘরে ফিরে গেছেন। আল মিত্রা একা দাঁড়িয়ে আছেন সাগরপারে। তিনি পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকেন সীমাহীন জলরাশির দিকে। তারই অশ্রুবাষ্পে আবছা হয়ে যাওয়া জাহাজ ধীরে ধীরে দৃষ্টিসীমার বাইরে গিয়ে দিগন্তরেখার সাথে মিলিয়ে যায়! আল মিত্রা ভাবতে থাকেন আল মুস্তাফার কথা- ‘কে তিনি? কেন এলেন? কেন ফিরে গেলেন? আর কোথায়ই বা তাঁর দেশ?’

‘দি প্রফেট’ গ্রন্থে  আছে ২৬টি কাব্যিক প্রবন্ধ। বইটির প্রথম প্রকাশ ১৯২৩ সালে, কিন্তু এটা প্রথমবারের মতো আমেরিকার কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ৬০-এর দশকে।এরপর বিশ্বজুড়ে বইটির কাটতি এতোটা বেড়ে যায় যে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ৪০টি ভাষায় এটি অনূদিত হয়েছে। বইটি কখনোই ‘আউট অব প্রিন্ট’ হয়নি।

খলিল জিবরান একজন প্রতিভাবান ক্ষণজন্মা পুরুষ। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন মানবসভ্যতাকে তাঁর জ্ঞানভাণ্ডার থেকে সব কিছু উজাড় দিকে। প্রতিদানে তিনি কিছুই চাননি,  নেননি। 

কবির খুব ইচ্ছা ছিলো, জীবিত অবস্থায় প্রিয় স্বদেশে  ফেরার। কিন্তু তিনি জীবিত ফিরতে পারেননি।  মৃত্যুর পরে তাঁকে দেশে আনা হয়। সেদিন বৈরুত সমুদ্র বন্দরে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে  তাঁকে বরণ করে নেয়। তিনি দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলেন, ‘Forget not that I shall come back to you’। তিনি কথা রেখেছিলেন। তিনি  ফিরেছিলেন ঠিকই বীরের বেশে।