আয়না২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক
নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদের লাশ আরেক নিহত নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর পরিবারের কাছে এবং নাজিয়ার লাশ ফয়সালের পরিবারের কাছে হস্তান্তর হয়েছিল। প্রবর্তিতে উভয়ের পরিবার দাবি করেছে, ভুলক্রমে এ ঘটনা ঘটেছে। ফয়সালের ভাইয়ের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দিয়ে বলেছেন, আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে বলা হয়েছে, ফয়সালের মরদেহ হিসেবে তার পরিবারকে যে লাশ দেয়া হয় তা ফয়সালের নয়। ওই মরদেহ একই দুর্ঘটনায় আরেক নিহত নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর মরদেহ।
পরে ফয়সালের পরিবার নজিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন, ফয়সালের লাশ দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে। আর নাজিয়ার লাশ দাফন করা হয় শরিয়তপুরের ডামুড্যা গ্রামে। উভয় পরিবারই ওই দুজনের লাশ তুলে পরস্পরের কাছে হস্তান্তর ও যার যার কবরস্থানে নতুন করে কবর দেওয়ার আবেদন করেছেন। আদেশে আরও বলা হয়েছে, ফয়সালের লাশ বনানী কবরস্থান থেকে তুলে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ঢাকা জেলার নির্বাহী হাকিমকে বলা হলো। আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন নিহত ফয়সালের ভাই সাইফুল ইসলাম ও নাজিয়ার ভাই আলী আহাদ চৌধুরী। আর আদালতে ওই বিবিধ মামলা করেন নিহত ফয়সালের ভাই সাইফুল ইসলাম। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত ফয়সালের লাশটি উত্তোলন করার আদেশ দিলেন। সাইফুলের আইনজীবী ছিলেন আশরাফ-উল-আলম।
গত ১২ মার্চ নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন ২৬ জন বাংলাদেশি। আর এর কিছুদিন পর ২০ মার্চ তাঁদের লাশ নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। ফয়সালের ভাই তাঁর আবেদনে বলেন, ২০ মার্চ তাঁর ভাইয়ের লাশ গ্রহণ করেন তাঁর মামা কায়কোবাদ। শরীয়তপুরে গ্রামে নেওয়ার পর জানাজা শেষে যখন কবর দেওয়ার জন্য কফিন থেকে লাশ বের করা হয় তখন দেখেন, এটি তাঁর ভাইয়ের লাশ নয়। লাশটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল। সেখানে লেখা ছিল নাজিয়া আফরিন চৌধুরী।
কিন্তু পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশঙ্কায় নাজিয়ার লাশ সেদিন সেখানেই দাফন করা হয়েছিলো।