আয়না২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আবার তাঁরা সেই প্রতিবেদন কারা কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠিয়েছেন। কারাগারে অসুস্থ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কী সমস্যা পেয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই তার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন প্রতিবেদনটি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের যে চারজন অধ্যাপক খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন, তারা চিকিৎসার একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। সেটা হাসপাতালের পক্ষ থেকে কারাকর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, গত রোববার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য পুরান ঢাকার কারাগারে আমরা মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদ্যস্যরা গিয়েছিলাম। মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, ফিজিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক ড. সোহেলী রহমান, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. টিটু মিঞা ও নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মনসুর হাবীব।
অধ্যাপক ডা. বলেন, শামসুজ্জামান আর ও বলেন ‘আমি চারজন সহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁর সমস্যাগুলো শুনেছি। উনার ঘাড়ে, পায়ে ব্যথা আছে হাতে, । আর এই ব্যথার কারণে তিনি আগে থেকেই কিছু ওষুধ খেতেন। এবং এগুলোর পাশাপাশি আরো কিছু ওষুধ ওই দিনই যোগ করা হয়েছে। উনার রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর ব্যবস্থাপত্রে। এ ছাড়া ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ড. সোহেলী রহমান খালেদা জিয়াকে কিছু ব্যায়ামও দেখিয়ে দিয়েছিলেন।’
গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পর্কে জানাতে। তবে তখন তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। হাসপাতালের উপপরিচালক শাহ আলম তালুকদার বলেন, মেডিকেল বোর্ডের কোনো প্রতিবেদন তাঁদের কাছে আসেনি। এক প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। তবে এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের কোনো প্রতিবেদন আমরা পাইনি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে নেওয়া হয়। আর তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।