আয়না২৪ ক্রিড়া
বিশ্বকাপ সামনে রেখে শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল মেসির আর্জেন্টিনা। প্রীতি ম্যাচে ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। চোটের কারণে বিশ্বকাপের আগে মেসিকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি আর্জেন্টিনা! মেসিকে ছাড়াই দুর্দান্ত খেলেছে সাম্পাওলির শিষ্যরা। প্রথমার্ধে সামান্য হলেও মেসির অভাব বোধ করেছেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়েরা। সে জন্যই বল দখলের লড়াইয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে থেকেও গোল ছাড়াই মাঠ ছাড়তে হয় মারিয়া-হিগুয়েনদের।
সেটা অবশ্য ইতালির ৪০ বছরের এই গোলরক্ষক বুফনের কারণে। কারণ তিনি ছিলেন অসাধারণ। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই ওটামেনন্ডির হেড রুখে দেন বুফন। এক মিনিট পরই বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রিকিক পেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। কিন্তু ডি মারিয়ার দুর্বল শটে রক্ষা পায় ইতালি। এরপর ২৩ মিনিটে ইতালির ডি বক্সে ভয় ধরিয়ে দেন ডি মারিয়া। কিন্তু গোল পাননি। ২৪ মিনিটে আবারও ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। আরেকবার বল আটকে দেন বুফন। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ডি মারিয়ার পাস থেকে নিকোলাসের শট আটকে দেন ওই বুফনই। খেলার প্রথমার্ধের খেলা গোল শূন্যই থেকে যায়। আর এভাবে এক বুফনেই আটকে যায় আর্জেন্টিনার প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে খানিকটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল ইতালি। খেলার ৪৮ মিনিটে একটা সুযোগও পেয়ে যায় তারা। কিন্তু চাপে থাকা ইতালি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ইতালির মাঝমাঠের সেনা লরেনজো বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। এরপর দু-একটা আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি বুফনের ইতালি। খেলার ৫০ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে পাওয়া বলে মাথা ছোঁয়ান হিগুয়েন। সেটা গোল পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৫২ মিনিটে লানিজিনর কাছ থেকে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি হিগুয়েন। ফলে ৬৪ মিনিটে কোচ সাম্পাওলি তুলে নিলেন ডি মারিয়াকেই। আর্জেন্টিনার ভক্তদের কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ। মারিয়াকে তুলে নিয়ে বেনেগাকে নামান কোচ।
প্রথম গোলের পর আত্মবিশ্বাসী আর্জেন্টিনা নিজেদের ছন্দ ফিরে পায়। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে হিগুয়েইনের দুর্দান্ত পাস পান লানজিনি। ফাঁকি দেন ইতালির রক্ষণকে, ফাঁকি দেন বুফনকে (২-০)। এমন দল পেলে মেসির বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নটাও হয়তো পূরণ হবে।