ঢাকার গুলশানে মা-মেয়ে খুন

Spread the love

আয়না২৪ প্রতিনিধি

রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গতকাল মঙ্গলবার নিজ বাসায় গারো সম্প্রদায়ের দুই নারী খুন হয়েছেন। তাদের লাশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালাচাঁদপুরের শিশু মালঞ্চ স্কুলের গলিতে একটি চারতলা ভবনের চতুর্থতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়। মেয়ের নাম হলো সুজাতা চিরিং এবং তার মা বেসেত। সুজাত তাঁর মা, তিন মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে (ক) ৫৮/২ কালাচাঁদপুরের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে গুলশান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টার দিকে তারা লাশ দুটি উদ্ধার করে। সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে পরে ঘরের মধ্যে বেসেতের লাশ পায়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ আরও বলছে যে, সুজাতের গলাকাটা মরদেহ ঘরের একটি খাটের ওপর থেকে এবং তাঁর মা বেশথের মরদেহ পাশের শোয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারনা কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সুজাতা চিরিংকে, তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মা বেসেত, সুজাতার দুই মেয়ে এবং তার বড় মেয়ের স্বামী এই পাঁচজন ছিলেন বাসার বাসিন্দা।

ওসি জানিয়েছেন, পারিবারিক বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের সুজাতার মেয়ের স্বামী ও তার দুই বন্ধুকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

সূত্র বলেছে, সুজাতের বড় মেয়ে মায়াবীর স্বামী পিলেস্তা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই বাসায় আসেন। সে সময় তিনি দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে ভেতরে ঢুকে তিনি সুজাত ও তাঁর মা বেশথ চিয়ানের মরদেহ দেখতে পান। তিনি বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক গুলশান থানায় ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

সুজাতের তিন মেয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। সুজাতের স্বামী হাশিস মানচিনও সে সময় নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানান। সুজাতের একমাত্র ছেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ গ্রামে থাকেন।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে সুজাতের বোনের ছেলে সঞ্জীব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ড হতে পারে।