আয়না ২৪ লাইফস্টাইল
মানুষের জীবন হলো ক্ষণস্থায়ী। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রত্যেকেই সুখী হতে চায়। তবে চাইলেই কিন্তু সবার জীবনে সুখ ধরা দেয় না। বাড়ি-গাড়ি, স্ত্রী-সন্তান, কাঙ্ক্ষিত পেশা ও উপার্জনসহ জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকা সত্ত্বেও অনেকের মধ্যে সুখের অভাব দেখা যায়। বিজ্ঞানে এটা প্রমাণ করেছে যে, সুখী হতে হলে প্রচেষ্টার প্রয়োজন। এটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এজন্য সময় লাগবেই। তাহলে সুখী হওয়ার উপায় কি কি হতে পারে? হা আজকে এই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১। নিজের লক্ষ্য পরিকল্পনা
প্রথমে আপনাকে নিজের লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং সেটি অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। সুখী হতে হলে লক্ষ্যটি অর্জন করতেই হবে, এমনটি নয়। বরং সেই প্রচেষ্টার মধ্যেই সুখ খুঁজে পাওয়া যায়।
২। ব্যর্থতায় কখনো হতাশ হবেন।
ব্যর্থতায় কখনো নিজেকে দায়ী করবেন না। বরং সেই ব্যর্থতাকে জীবন থেকে শেখার একটি অংশ হিসেবে নিবেন। অনুশোচনায় ব্যর্থতার স্থায়িত্ব বাড়ে। আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে মানুষ ভুলের মাধ্যমেই সব কিছু শিখতে পারে।
৩। ঘুমাবেন নিশ্চিন্তে
আপনাকে সবসময় চেষ্টা করতে হবে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর। এই কাজটা করা সবচেয়ে সহজ বলে মনে হলেও কিন্তু আসলে এটি করা খুব কঠিন হয়ে পরে। এখানে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রতি রাতে আট ঘন্টা করে ঘুমানো এবং এই কাজটা করতে হবে এক সপ্তাহ ধরে। আমরা সবাই জানি যে বেশি ঘুমাতে পারলে এবং নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারলে বিষণ্নতায় ভোগার সম্ভাবনা কম থাকে। এর ফলে ইতিবাচক মনোভাবও তৈরি হয়।
আপনি যাঁদের সঙ্গে সময় কাটান, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি যথেষ্ট ইতিবাচক না-ও হতে পারে। সুখী ও ইতিবাচক মানুষের সঙ্গ বেছে নিলে তাঁদের মানসিকতার প্রভাবে আপনার সুখী হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
৪। ইতিবাচক সঙ্গ বাছাই
আমরা যাদের সাথে চলি যাদের সাথে সময় কাটাই, দৃষ্টিভঙ্গি যথেষ্ট ইতিবাচক না-ও হতে পারে। সুখী ও ইতিবাচক মানুষের সঙ্গ বেছে নিলে তাঁদের মানসিকতার প্রভাবে আপনার সুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়।
৫। সোশ্যাল মিডিয়াকে কম গুরুত্ব দিন
একটু বিচার করলে পাওয়া যায়, মানুষ নিজেকে যেভাবে তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়া সে সবসময় তা হয় না। সে যা বলে সবসময় তা সত্য হয় না। প্রতারিত হবার সম্ভাবনা প্রচুর। বিষন্নতা বেড়ে যাবে যদি এই মিডিয়ায় বুদ হয়ে থাকলে সবসময়। তাই ভার্চুয়াল জগতের পরিবর্তে বন্ধুদের এবং স্বজনদের সঙ্গে বাস্তব যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন।
কৃতজ্ঞ হতে শুরু করুন, যদি সত্যিই জীবনে আপনি সুখী হতে চান। সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে সরে এসে আরও একট বেশি ঘুমাতে চেষ্টা করুন। পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটান, বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করুন, দিনের একটা সময়ে কিছুক্ষণের জন্যে নিজেকে সবকিছু থেকে সরিয়ে ধ্যানে মগ্ন হউন। সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করুন এবং বিশ্বাস রাখুন সৃষ্টিকর্তার ওপর। তবে জীবনে আপনিও সুখী হতে পারবেন।