আয়না২৪ ডেস্ক
নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য। এমন একজন বর্ণবাদী ও নারীবিদ্বেষী ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন-এমনটা মেনে নিতে পারছেন না মার্কিনিদের অনেকে। তাই ট্রাম্পকে কিছুতেই তারা প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না। তা্ই রাগে-ক্ষোভে নেমে এসেছেন রাজপথে। বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের মতো।
বিবিসি ও সিএনএনের খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও ফিলাডেলফিয়া, নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিক্ষোভাকারীরা বিক্ষোভ করেন। গত বুধবার শিকাগো, সান ফ্রান্সিসকো, ওকল্যান্ড, বোস্টন, ক্যানসাস সিটিসহ দেশের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ও মিছিল হয়। ওকল্যান্ডের একটি মিছিলে ট্রাম্পের বিশাল কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের সামনে মোমবাতি হাতে নিয়ে নীরব প্রতিবাদ জানায় কয়েক শ মানুষ। সপ্তাহান্তে আরও বড় ধরনের মিছিলের আয়োজন চলছে।
বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় ট্রাম্প ট্রাম্প বলছেন, এই বিক্ষোভ ‘অনুচিত’। গণমাধ্যমের উসকানিতেই এমন ‘অন্যায়’ বিক্ষোভ হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নির্বাচন খুবই সুষ্ঠু ও সফলভাবে হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পেনসিলভানিয়া থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন থেকে ওয়াশিংটন-সব জায়গায় এখন এক স্লোগান ‘নো ট্রাম্প, নো কেকেকে, নো রেসিস্ট।’ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছে দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নির্বাচনের ফলাফলে এরকম বিক্ষোভ নজিরবিহীন এবং এটাই প্রথম বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স ক্যাম্পেইন’ নামে একটি সংগঠন এ দাবিতে জোরেশোরে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ফ্রান্সের চেয়ে শক্তিশালী। এর জনসংখ্যা পোল্যান্ডের চেয়ে বেশি। বিভিন্ন বিবেচনায় যেকোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে ক্যালিফোর্নিয়া। তাই তাদের আলাদা হওয়ার দাবি অযৌক্তিক নয়। এ রাজ্যটির ইলেক্টোরাল ভোট ৫৫, যা দেশটির ৫০টি রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ। খবর বিবিসি, আলজাজিরা, সিএনএন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ট্রাম্পের অভিবাসী, মুসলমান ও অন্যান্য গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে স্লোগান দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে সানফ্রান্সিসকোর বে এলাকা, ওকল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দোকানের সামনে ভাঙচুর করে, টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের রায়ট কারের দিকে ঢিল ছুড়লে পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ব?্যবহার করে বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। গত বুধবার ভোর থেকে বার্কলে ও ওকল্যান্ড শহরে কয়েকশ’ মানুষ রাস্তায় নেমে ‘ট্রাম্প আমার প্রেসিডেন্ট নয়’ বলে স্লোগান দেন। এ ছাড়া পেনসিলভানিয়া থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন থেকে ওয়াশিংটন স্টেট-সব জায়গায় শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভকারীরা একটি সড়কে ঢোকার সময় গাড়ির ধাক্কায় একজন আহত হন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বব্যািলয়ের দেড় হাজরের বেশী ছাত্র-শিক্ষক ট্রাম্পের বিপক্ষে বিক্ষোভ করেন। এ রাজ্যের ওকল্যান্ডেও বিক্ষোভ হয়েছে। ওরেগনে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধের পাশাপাশি রেল চলাচলেও বাধা দেন। সেখানে ৩০০ বিক্ষোভকারী ‘ট্রাম্প আমার প্রেসিডেন্ট নয়’ স্লোগান দেন। কেউ কেউ আমেরিকার পতাকাতেও আগুন ধরিয়ে দেন। গত বুধবার নিউইয়র্কে হাজারো বিক্ষোভকারী ট্রাম্প টাওয়ার এলাকার আশপাশে বিক্ষোভ করেন। ম্যানহাটান মিডটাউনের ফিফথ অ্যাভিনিউয়ের ওই টাওয়ারেই বসবাস করেন ট্রাম্প। শতাধিক বিক্ষোভকারী ম্যানহাটান পার্কের কাছে একত্রিত হয়ে ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। শিকাগোর ডাউনটাউনে প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তারা ‘নো ট্রাম্প’, ‘নো কেকেকে’, ‘নো রেসিস্ট ইউএসএ’ স্লোগান দেন। ওই এলাকার রাস্তা আটকে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় শিকাগো পুলিশ। সেখানে কোনো ধরনের সহিংসতা বা আটকের খবর পাওয়া যায়নি। এখানে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আদ্রিয়ানো রিজ্জো বলেন, এ দেশের কী হতে যাচ্ছে, তা ভেবে আমি সত্যিই আতঙ্কিত। ২২ বছর বয়সী তরুণ যে টি-শার্ট পরেছিলেন, তাতে লেখা- ‘যতখানি পার অধিকার উপভোগ কর।’ ওয়াশিংটনের সিয়াটলে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের সময় কাছাকাছি এলাকায় এক অস্ত্রধারীর গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে পুলিশ বলেছে, ওই ঘটনা বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। বিক্ষোভকারীরা মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের দেয়াল তোলার পরিকল্পনা এবং তার অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন। বুধবার সন্ধ্যায় শত শত বিক্ষোভকারী ফিলাডেলফিয়া, বস্টন, পোর্টল্যান্ড, ওরেগনে বিক্ষোভ করেন। রিপাবলিকানদের ঘাঁটি বলে পরিচিত টেক্সাসের অস্টিনেও বিক্ষোভ হয় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। সেখানে প্রায় চারশ’ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। সিয়াটলে প্রায় একশ’ বিক্ষোভকারী ক্যাপিটল হিলের কাছে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। স্কুল-কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী সিয়াটল, ফিনিক্স, লস অ্যাঞ্জেলেস, ওকল্যান্ড, রিচমন্ড ও এল ক্যারিতোতে বিক্ষোভ দেখান। পেনসিলভানিয়ায় ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের কয়েকশ’ শিক্ষার্থীও রাস্তায় নামেন ট্রাম্পের বিরোধিতায়। বুধবার দিনের শুরুর দিকে ১৫শ’ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সানফ্রান্সিসকো বার্কলে হাইস্কুলের সামনে বিক্ষোভ করে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে অগ্রসর হন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র অ্যাডাম ব্রেভার বলেন, আমরা বসে থাকতে পারি না। একজন বর্ণবাদী ও নারীবিদ্বেষীকে প্রেসিডেন্ট হতে দিতে পারি না। ট্রাম্পের বিজয়কে ‘খুব দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেন ড্যানিয়েল কলিন নামে আরেক শিক্ষার্থী, যিনি গুয়াতেমালা থেকে আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আরও কয়েকজন লাতিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া কলিন বলেন, লাতিন আমেরিকা থেকে আসা অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থানের কারণে তার আমলে তাদের বন্ধু ও স্বজনদের কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। অকল্যান্ডের ক্যালিফোর্নিয়া কলেজ অব দ্য আর্টসের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফ্রিকান-আমেরিকান ড্যানিয়েল অস্টিন বলেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে তার। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার অস্তিত্বের একটা অংশ চুরি হয়ে গেছে-একজন উভকামী হিসেবে নয়, একজন কালো হিসেবে নয়, একজন আমেরিকান হিসেবে। স্প্যানিশ ভাষায় তারা স্লোগান দেন-‘জনগণের ঐক্য পরাজিত হবে না’, ‘অভিবাসীরাই আমেরিকাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।’ এই শিক্ষার্থীরা ‘ড্রিমার্স’ প্রজন্মের প্রতিনিধি। এদের বাবা-মা অবৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এখন তাদের দেশ ছাড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিক্ষোভের সংগঠক স্টেফানি হিপোলিতো বলেন, একজন শিশু কখনই দেশ ছাড়ার ভয় নিয়ে জীবন ধারণ করতে পারে না। তার বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রেরই নাগরিক। বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পবিরোধী এই বিক্ষোভের বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে প্রাম্পের প্রচার শিবিরের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হবেন। নির্বাচনের আগে এ মাসের ? শুরুতে ক্লু ক্লুক্স ক্ল্যান (কেকেকে) বলে পরিচিত উগ্রগোষ্ঠীর সমর্থক একটি পত্রিকার সমর্থনও প্রত্যাখ্যান করেছিল ট্রাম্প শিবির। ওই সময় তার প্রচার শিবির থেকে বলা হচ্ছিল-ট্রাম্প এবং তার প্রচার শিবির বিদ্বেষমূলক যেকোনো ঘটনার বিরোধী। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। গুলিতে আহত ৫ : ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের পাশে গুলির ঘটনা ঘটেছে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এক বন্দুকধারী গুলি চালান। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের সিয়াটল শহরের ডাউনটনে এ ঘটনা ঘটে। সিয়াটল পুলিশ বিভাগের সহকারী প্রধান রোবার্ট মারনার জানান, ওই গুলির ঘটনা ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে গুলির ঘটনাটি ঘটেছে।
আলাদা হওয়ার দাবি ক্যালিফোর্নিয়ার : এ রাজ্যের জনগণ এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন। ট্রাম্পের জয়ের পর ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত রাজ্যটিতে এ দাবি আরও জোরালো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার এ প্রক্রিয়া পরিচিতি পেয়েছে ‘ক্যালেক্সিট’ নামে। যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ‘ব্রেক্সিটে’র নাম অনুসরণ করেই এই নামকরণ।
‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স ক্যাম্পেইন’ নামে একটি সংগঠন বুধবার থেকে জোরেশোরে এ প্রচার শুরু করে। এই গোষ্ঠী ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য বেশ আগে থেকেই প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স প্রচারণার মূল ব্যক্তি লুই ম্যারিনেলি ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল পার্টির সাবেক অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান। তিনি জানান, এখন এ অঙ্গরাজ্যের প্রচুর মানুষ তাদের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন। অনেকেই স্বাধীনতার জন্য গণভোট চেয়ে তাদের তৈরি দাবিনামার অনলাইন সংস্করণ দেখতে চেয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে ২০১৫ সালে সাতটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যার প্রতিটির জন্য ২০০ ডলার খরচ করেন তিনি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অনেক মূল্যবোধ আছে, যেগুলোর সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার বিরোধ রয়েছে। এভাবে থাকার অর্থ হল-‘আমরা অন্য রাজ্যগুলোর জন্য অব্যাহতভাবে আমাদের ক্ষতি করে যাব, আমাদের শিশুদের অকল্যাণ বয়ে আনব।’
টুইটারে ক্যালিফোর্নিয়ার বিচ্ছিন্নতার দাবি তোলার পাশাপাশি স্টেট রাজধানী স্যাক্রোমেন্টেতে সমাবেশেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। এই প্রচারণা এরই মধ্যে অনেকের সমর্থন পেয়েছে। শেরভিন পিশেভার নামে এক ব্যবসায়ী আগেই টুইটারে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ট্রাম্প জিতলে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারে পৃষ্ঠপোষকতা করবেন তিনি। সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এই অবস্থানে অবিচল থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের জন্য আমি যা করতে পারি তার মধ্যে এটাই শ্রেষ্ঠ। দেশ এখন গুরুতর বাঁক বদলের সময়ে। |