আয়না২৪ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আর কোনও রাখঢাক নয়, একেবারে খোলাখুলি, প্রকাশ্যেই আমেরিকাকে যেন চ্যালেঞ্জ জানাল চীন! বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে অস্ত্র মোতায়েন করছে বে্ইজিং৷ দৈত্যাকৃতির অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান, ক্লোজ ইন উইপন সিস্টেম বসছে কৃত্রিম দ্বীপে৷
বেজিংয়ের এই পদক্ষেপে কার্যত দিশাহারা আমেরিকা৷ পেন্টাগনের অভিযোগ, যুদ্ধের জন্য পা বাড়িয়েই রেখেছে চীন৷ শুধু প্রতিরক্ষার জন্য যে বিতর্কিত কৃত্রিম দ্বীপে ভারী অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে না সেটা স্পষ্টতই বুঝেছে পেন্টাগন৷ আর তাই ঘুম ভেঙেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্ততরের৷ মাটি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে শত্রুর বিমানকে ধরাশায়ী করতে পারে এমন পেল্লাই কামান বসেছে দক্ষিণ চীন সাগরের উপর সাতটি দ্বীপেই৷
‘এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ’ বা এএমটিআইয়ের ডিরেক্টর গ্রেগ পোলিং সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ” এটা সামরিকীকরণ৷ চীন কিছুতেই দাবি করতে পারে না এত অস্ত্রশস্ত্র তারা কেবল প্রতিরক্ষার জন্য বরাদ্দ করেছে৷ যে যে অস্ত্র ওই দ্বীপগুলিতে মোতায়েন করা হচ্ছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে চীন ভবিষ্যতে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷” কৃত্রিম মার্কিন উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, যুদ্ধবিমান, রণতরী থেকে ছোঁড়া ক্রুজ মিসাইলকেও রুখে দিতে পারবে চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা৷ পাল্টা হামলা চালাতেও তৈরি সাংঘাতিক সব অস্ত্র৷ চীন যে চুপিচুপি ওই দ্বীপগুলিতে এসব অস্ত্র মজুত করেছে, এতদিন জানতেই পারেনি আমেরিকা৷ মাসের পর মাস গুপ্তচর লাগিয়ে শেষে অস্ত্র মোতায়েনের খবর জানতে পেরে ঘুম ছুটে গিয়েছে পেন্টাগনের৷
এএমটিআই জানাচ্ছে, বেজিং বরাবরই দাবি করে এসেছে দক্ষিণ চীন সাগরে তারা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ওই দ্বীপগুলিতে সর্বক্ষণ মোতায়েন রয়েছে ফাইটার জেট, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল, সারফেস টু এয়ার মিসাইল৷ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গড়ে তোলার ছলে আস্ত একটি ‘সারফেস টু এয়ার মিসাইল’ প্ল্যাটফর্ম বা ‘এসএএম’ গড়ে ফেলেছে বেইজিং৷ ভবিষ্যতে যে কোনও মুহূর্তে চীন হামলা চালাতে পারে বলেও চূড়ান্ত আশঙ্কায় রয়েছে পেন্টাগন৷