আয়না ২৪ স্বাস্থ্য
সুস্থতার জন্য প্রতিদিন আমরা বাদাম খেতে পারি। বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৩, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিন। বাদাম আমরা সারা বছরই হাতের নাগালে পেয়ে থাকি। শরীরের টক্সিন দূর করতে ,গর্ভবতী নারীদের জন্য,শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে,হৃদপিণ্ডের সুস্থতার জন্য বাদাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
তাই বিশেষজ্ঞরা খাবারের সঙ্গে বাদাম যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আমাদের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত বাদাম রাখা দরকার। আমরা খাবারের সঙ্গে নানাভাবে বাদাম যুক্ত করতে পারি। খাবারের সঙ্গে চিনাবাদাম খেলে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত ট্রাইগ্লিসারাইডস স্তর কমতে দেখা যায়।
বাদামের যত গুণ
বাদামে প্রচুর পরিমাণে মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ থাকে, যা হৃদপিণ্ডের জন্য খুব উপকারি। ভেজে নিলে এতে পলিফেনলের পরিমাণও বেশি হয়। বাদামে থাকা ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসিড, নিয়াসিন ও ম্যাঙ্গানিজ হার্টের জন্য খুব ভালো। এতে কো এনজাইম কিউ টেন এর পরিমাণ অনেক যা আপনাকে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখবে।
যারা দুর্বল স্বাস্থ্য ও কম ওজন যাদের তারা নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন। উঠতি বয়সী শিশুদের জন্যও বাদাম খুব উপকারি, কারণ এতে প্রচুর অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে।
বাদামের উপকারিতা
চিনাবাদামে প্রোটিন বেশি থাকায় এটি হৃদ্রোগীদের জন্য খুব উপকারী। রীরে রক্ত চলাচল সাহায্য করে।
বাদামে থাকে পর্যাপ্ত চর্বি ও প্রোটিন এবং এর চর্বির প্রায় পুরোটাই অসম্পৃক্ত ধাঁচের অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর। এতে ভিটামিন বেশি না পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম সহ প্রয়োজনীয় আরো কিছু খনিজ এতে রয়েছে। যারা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ যারা করেন, তারা ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদামের চর্বি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। বাদামে শর্করা সামান্যই আছে। ফলে বাদাম খেলে ওজন বাড়বে না।
বাদামে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। আর তাই শরীর থেকে টক্সিন অর্থাৎ ক্ষতিকারক উপাদান বের করে ওজন কমাতে সাহায্য করে বাদাম।
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারীরা নিয়মিত বাদাম খেলে তাদের সন্তানের অ্যাজমা হওয়ার আশংকা কমে যায়।
বাদামে প্রচুর প্রোটিন থাকে। গবেষকরা বলেছেন, নিয়মিত বাদাম খেলে তা গলব্লাডারের পাথর হওয়া রোধ করে।
কাজুবাদামে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক আছে। কাজুবাদাম শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
আপনি যদি হতাশায় ভোগেন, তাহলে বাদাম খান। এতে আছে ট্রিপটোফান, যা সেরোটনিন মুক্ত করে হতাশা দমনে সাহায্য করে। কিন্তু জেনে রাখা ভালো, বাদামে শর্করার পরিমাণ খুবই কম।
তাই প্রতিদিন আমরা বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে বাড়তি টাকা খরচ না করে বাদাম খেতে পারি নিশ্চিন্তে।