• Home  / 
  • বরিশাল  / 

আমতলীতে যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
Spread the love

আয়না ২৪ আমতলী প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে জাকির হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দিয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে জেলা পরিষদের চেয়াম্যানের ছোট শ্যালক সোহাগ প্যাদার নেতৃত্বে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতকে পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

জানাগেছে, গত ১০ জানুয়ারী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লুগোল্ড প্রকল্পের চাউলা পানি ব্যবস্থাপনা দলের সাধারণ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.দেলোয়ার হোসেনের শ্যালক সোহাগ প্যাদা ও তার সহযোগীরা শানু মাতুব্বরের পক্ষাবলম্বন করেন। অপর পক্ষের হাবিবুর রহমান পটুয়াখালী থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আনেন। ওই সময় দু’প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে মহিষকাটা গ্রামের জাকির হোসেন হাবিবুর রহমানের সমর্থক ছিলেন। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় সোহাগ প্যাদার লোকজন আহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছোট শ্যালক সোহাগ প্যাদা ও হাসান মৃধাসহ ৮/১০ জন সহযোগী জাকির হোসেনকে উপজেলা পরিষদের সামনে পেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনা উপস্থিত শতাধিক লোকজন প্রত্যক্ষ করে। তাদের তান্ডবে উপজেলা পরিষদ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। স্থানীয় লোকজন এ দৃশ্য দেখলেও তাদের ভয়ে কেউ যুবককে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। মারধরের সময় জাকির হোসেনের পকেটে থাকা ৮২ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে। এ সময় সোহাগ প্যাদাসহ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে জাকির হোসেনকে মুমুর্ষ অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত জাকির হোসেনের বড় ভাই ও উপজেলার কুকুয়া ইউপি সদস্য মো. জাফর হোসেন বলেন, আমার ভাইকে একা পেয়ে বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের ছোট শ্যালক সোহাগ প্যাদা ও তার সহযোগী হাসান মৃধাসহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দিয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দু’হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জখম করে। এ সময় আমার ভাইয়ের সাথে থাকা ৮২ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

আহত জাকির হোসেন বলেন, আমি চাউলা পানি ব্যবস্থাপনা দলের নির্বাচনে কারও সমর্থক ছিলাম না কিন্তু আমাকে সোহাগ প্যাদা, হাসান মৃধাসহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী অহেতুক কুপিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দু’হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহাগ প্যাদা বলেন, আমি কাউকে মারধর করেনি। কেবা কাহারা করেছে তা আমি জানিনা। তিনি আরও বলেন,গত ১০ জানুয়ারী চাউলা পানি ব্যবস্থাপনা দলের নির্বাচনে একটি ছেলের সাথে আমার মনোমালিন্য হয়েছিল।

আমতলী থানার এএসআই মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি মো. শহিদ উল্যাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।