• Home  / 
  • জাতীয়  / 

মন্ত্রীর আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন এবতেদায়ি শিক্ষকরা

জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১ জানুয়ারি থেকে জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় ইবতেদায়ি শিক্ষকরা। অবস্থান নেয়ার আটদিন পর তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। টানা আট দিনের আন্দোলনের পরে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়ে অনশন ভাঙলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের বার্তা শিক্ষকদের মাঝে পৌঁছে দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর জানান, শিক্ষকদের উদ্দেশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার অনুরোধ, আপনারা (শিক্ষকরা) শীতে রাস্তায় কষ্ট না করে বাড়ি ফিরে যান। এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিজ দায়িত্বে কাজ করুন। মন্ত্রণালয়ও নিজ দায়িত্বে আপনাদের দাবি পূরণে চেষ্টা করবে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একমত। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।’ তবে মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান জানান, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যদি প্রাক-বাজেটে অর্থ বরাদ্দ না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা আবার রাজপথে নামবো।’দিতে দিতেবলেন। সে হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।’স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে গত ১০ নভেম্বর প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি। পরে ৩১ ডিসেম্বর জাতীয়করণের ঘোষণার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে আসছে শিক্ষকরা। ৯ জানুয়ারির মধ্যে দাবি আদায় না হওয়ায় ১০ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে আমরণ অনশন পালন করছিলেন শিক্ষকরা। এই আশ্বাসে ভিত্তিতেই মঙ্গলবার সোয়া দুইটার দিকে আমরা অনশন ভঙ্গ করলাম। এই আট দিনে অনশনে প্রায় ১৯১ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পরে। এখনও কয়েক জন শিক্ষক হাসপাতালে রয়েছে।

শিক্ষকরা।। এই আশ্বাসে ভিত্তিতেই মঙ্গলবার সোয়া দুইটার দিকে আমরা অনশন ভঙ্গ করলাম। এই আট দিনে অনশনে প্রায় ১৯১ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পরে। এখনও কয়েক জন শিক্ষক হাসপাতালে রয়েছে।