ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন ‘টি সেল’ পদ্ধতি উদ্ভাবন

জানুয়ারি ৪, ২০১৮
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক

নিয়ন্ত্রিনহীন কোষের বিভাজনের ফলে মানবদেহে ক্যানসার হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের 
মতে,  ২০০ ধরনের  বেশি ক্যানসাররের উপস্থিতি  রয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্যানসারের কার্যকর কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত না হওয়ায় রোগটি এখনো দুরারোগ্য।  এ জন্য  এই রোগাক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা  বেশি। ক্যানসার চিকিৎসার প্রতিবেষক ও ওষুধ আবিষ্কারের জন্য  নানাভাবে গবেষণা চালােচ্ছেন  চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
 
এই গবেষণার ক্ষেত্রে এবার   টি সেলকে কাজে লাগিয়ে  ক্যানসার চিকিৎসার চেষ্টা চালাচ্ছেন  বিজ্ঞানীরা। নতুন পদ্ধতি পদ্ধতির এই চিকিৎসার মূল বিষয় হলো, মানব দেহের  রোগ প্রতিরোধের যে ক্ষমতা রয়েছে মূলত সেটাই ক্যানসার আক্রান্ত জীব কোষগুলোকে ধ্বংসের কাজে লাগানো। ব্রিটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা  ‘ইমিউনো থেরাপি’ নামে এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির   পরীক্ষামূলক  প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করেছেন।
 
ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ক্যানসার রিসার্চ ইউকে’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানটির গবেষক অধ্যাপক চার্লস সোয়ানটন এ প্রসঙ্গে বলেন, মানব দেহে  নিজস্ব যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা্ আছে তা সবার ক্ষেত্রে একেবারেই নিজস্ব। লাখ লাখ বছর ধরে  বিবর্তনের মধ্যদিয়ে মানবকূল এই ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধী  সক্ষমতা  অর্জন করেছে। যার মাধ্যমে  স্বাভাবিক দেহকোষকে বাদ দিয়ে শুধু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে চিনতে সক্ষম এবং  আক্রমণ করতে পারে।
ব্রিটেনের অ্যাবিংডনে  ইমিউনোকো হলো একটি অন্যতম গবেষণা  প্রতিষ্ঠান যার বিজ্ঞানীরা  ইমিউনো থেরাপি ব্যবহার করে দুরারোগ্য ক্যানসার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে গবেষণা চালাচ্ছেন। এজন্য গবেষকেরা ব্যবহার করছেন টি সেল রিসেপটর বা টিসিআর নামে এমন এক প্রযুক্তি। ইমিউনোকোরের গবেষক ইভা লোট্টা অ্যালেন এই পদ্ধতির  ব্যাখ্যাও দেন। 
 
অ্যালেন বলেন,  প্রত্যেক মানুষের দেহে টি সেল নামে একটা সেল আছে। এটা হল রক্তের শ্বেত কণিকা যার  সেলগুলোর একটা আলাদা ক্ষমতা আছে। এই সেলগলো দেহের ভেতর-বাইরে বা অচেনা কোনো কিছু ঢুকলেই তাকে আক্রমণ করে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। আর ক্যানসার সেলও দেহের স্বাভাবিক কোনো কোষ নয়।  এ জন্য এই অদেহী কোষকে টি সেল আক্রমণ করে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারে। গবেষণার মাধ্যমে  আমরা এমন এক ওষুধ আবিষ্কার করেছি  যার প্রতিটি অণুর দুটি অংশ রয়েছে। এর একটি অংশ ক্যানসার সেলের সঙ্গে আটকে যাবে এবং অন্য অংশ একটি সংকেতের মাধ্যমে টি সেলকে তার দিকে আকর্ষণ করবে। এই প্রক্রিয়ায় যখন   টি সেলগুলো এসে ওই ওষুধের অণুর সঙ্গে যুক্ত হবে তখন ক্যানসার সেল শুদ্ধ তাকে ধ্বংস করে দেবে।