অ্যাডোনিস নায়ক কবি

নভেম্বর ২৬, ২০১৭
Spread the love

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা লিট ফেস্ট। উদ্বোধন করবেন সিরিয়ার কবি অ্যাডোনিস। বিশ্বখ্যাত এই কবির নাম নোবেল কমিটির শর্ট লিস্টে প্রতি বছরই থাকে। এবারই তিনি প্রথম  বাংলাদেশে এসছেন। তাঁকে একটি লেখাটি বাংলায় প্রকাশ করা হলো।

 আমি স্কুলে যেতে চাই’   

এ গল্প বহুবার বলা হয়েছে, কবি নিজে বলেছেন; তাঁর ভাষ্যকাররাও বলছেন। আগামীতে আরো অসংখ্যবার বলা হবে, সন্দেহ নেই। শ্রোতার কাছে প্রতিবারই নতুন মনে হবে এ গল্প। লোককাহিনী, পুরাণকথা, রূপকথা তো এমনই— প্রতিবার নতুন মনে হয়। 

বালকের জন্ম ১৯৩০ সালে পশ্চিম সিরিয়ায়। জন্মস্থান কাসাবিন নামক কৃষিপ্রধান এক ছোট গ্রাম। কাসাবিনে কোনো স্কুল ছিল না। বিদ্যুৎ কিংবা টেলিফোনের কথা বলা বাহুল্য। বালক বড় হতে থাকে সাদাসিধে আলি আহমদ সাঈদ এসবার নামে। স্থানীয় মক্তবে কোরআন পড়ে। মুখস্থ করতে থাকে ক্ল্যাসিক আরবি কবিতা। তার বাবা আরবি কবিতার বোদ্ধা। কবিতা তার জীবনেও আবির্ভূত হয় ‘গাছের শরীরে যেমন পাতা গজায়’ তেমন করে। কিটসের কথাগুলো তার ক্ষেত্রে দারুণভাবে যথার্থ।

১৯৪৩ সালে সিরিয়া স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা লাভ করে। সিরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট শুকরি-আল-কোয়াতলি নিজের দেশ সফরের এক পর্যায়ে কাসাবির নিকটে এক শহরে আসেন। বালক আলি আহমদ দেশের স্বাধীনতা এবং প্রেসিডেন্টের আগমন উপলক্ষে একটি কবিতা রচনা করে। পরিকল্পনা করে, প্রেসিডেন্টের সামনে কবিতা আবৃত্তি করবে। কবিতা আবৃত্তির দৃশ্যটা মনে মনে ঠিক করেও নেয়: সফরে আসা উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সামনে সে হাজির হয় এবং কবিতা আবৃত্তি করে। তার কবিতা প্রেসিডেন্টের ভালো লেগে যায় এবং তিনি বালককে বর স্বরূপ কিছু চাইতে বলেন। বালক বলে, ‘আমি স্কুলে যেতে চাই।’ তার ইচ্ছে কবুল হয়ে যায়। 

বাস্তবেও ঠিক এমনই ঘটে। রূপকথার মতোই বালকের জীবনে বিরাট পরিবর্তন ঘটে। তার দেশের সবচেয়ে নামকরা স্কুল তারতাসের ফরাসি লিসেতে ভর্তি করে দেওয়া হয় তাকে। ১৯৪৪ সালে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হলে বালক চলে যায় একটা সরকারি স্কুলে। তারপর সে বৃত্তি নিয়ে চলে যায় দামেস্ক ইউনিভার্সিটিতে পড়তে। সেখান থেকেই ১৯৫৪ সালে দর্শনশাস্ত্রে তার স্নাতক সম্পন্ন হয়।

পুরাণকথার বাস্তব রূপায়নে কবি পরিচয়

পড়াশোনার কারণে তার স্বাভাবিক কাব্য-প্রবাহ ব্যাহত হয় না। কিন্তু পত্রিকার সম্পাদকরা তাঁর কবিতা ফেরত পাঠাতে থাকেন। তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। অ্যাডোনিসের পুরাণকথা মনে পড়ে যায় তাঁর—অল্পবয়সী শিকারী অ্যাডোনিস বন্য শূকরের আক্রমণে নিহত হয়। সমালোচকদের ‘কোপে নিহত’ রোমান্টক কবি কিটসকে শেলি অ্যাডোনিসের পৌরাণিক কাহিনীর কাঠামোতে ফেলেছেন। আলি আমহমদও নিজেকে অ্যাডোনিসের আবস্থায় দেখতে পান এবং পত্রিকার সম্পাদকরা বন্য শূকরের মতো তাঁকে শেষ করে দিতে চান। তিনি আবারও কবিতা জমা দেন পত্রিকাঅলাদের কাছে। তবে এবার নিজের নাম লেখেন অ্যাডোনিস। এবার তাঁর কবিতা গ্রহণ করা হয়। তাঁর কবি পরিচয়ের প্রতিষ্ঠা আক্ষরিক অর্থেই এরকম পুরাণকথার একটা বাস্তব রূপায়ন। 

রাজনীতি, কারাগার, নির্বাসন

স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায়ই আলি আহমদ, না, অ্যাডোনিস, সিরিয়ান ন্যাশনাল সোসালিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। এ পার্টিকে হিটলারের পার্টির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার অবকাশ নেই। এ দলটি মূলত গণতান্ত্রিক ইহবাদী দল এবং দমনপীড়নমূলক সিরীয় শাসনের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু। ১৯৫৫-৫৬ সালে তিনি যখন বাধ্যতামূলক সামরিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তখনই তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। কারণ হিসেবে দেখানো হয় এক বিরোধী দলের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রী সাহিত্য সমালোচক খালিদা সাঈদকে নিয়ে লেবাননে চলে যান এবং বৈরুতে বসবাস শুরু করেন। বৈরুতে তাঁরা দুজনই পূর্ণসময় সাহিত্যকর্মে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন ১৯৫৭ সালে, বিশটিরও অধিক কবিতা প্রকাশ করা হয় সে গ্রন্থটিতে। শিঘ্রই তিনি আরবি কবিতার নব্যতার প্রধান প্রবর্তকদের অন্যতম হয়ে ওঠেন। কবিতার বিষয়বস্তু এবং আবেগের পরিধি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য গোলাপ বিষয়ক সম্পদ ভাণ্ডারের ব্যবহার করেন। তিনি বৃত্তি নিয়ে ফ্রান্সে এক বছর পড়াশোনা করেন এবং ফ্রান্সে ই ভেস বোনেফয়, সেইন্ট জাঁ পার্সি এবং হেনরি মিশঁর মতো ফরাসি কবিদের কবিতা অনুবাদ করেন। তিনি একাধিক প্রভাবশালী আরবি সাহিত্য জার্নালের সঙ্গেও জড়িত। সহঅনুবাদক হিসেবে অনুবাদ করেছেন এলিয়টের ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’, এজরা পাউন্ড, ফিলিপ লারকিন, এবং রবার্ট লওয়েলের কবিতা। আরবি গদ্য সাহিত্যের বহু খণ্ডে প্রকাশিত সংকলন সম্পাদনা করেন; বৈরুতের সেন্ট যোসেফ ইউনিভার্সিসিটি থেকে আরবি সাহিত্যে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন; লেবাননের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি সাহিত্য পড়ান; পরবর্তীতে ফ্রান্সে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। ১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরাইলি আক্রমণের পর সেখান থেকে আবার চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৯৮৫ সালে প্যারিসে বসবাস শুরু করেন। তারপর থেকে স্ত্রী এবং দুকন্যাকে নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। বহু বছর ধরেই নোবেল পুরস্কারের সম্ভাব্য কবি হিসেবে তাঁকে নিয়ে বাজি ধরা হচ্ছে।

একজন দায়বদ্ধ কবি

পাঠক জিজ্ঞেস করতে পারেন, দায়বদ্ধ কবি কেমন? কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের মতে, যিনি রাষ্ট্রের নেতা এবং অফিসিয়াল আদর্শের গুণগান করেন তিনি হলেন দায়বদ্ধ কবি। আমার কাছে অ্যডানিস হলেন একজন দায়বদ্ধ কবি; কারণ তাঁর সমন্বিত অন্তর্দৃষ্টির কাছে তিনি দায়বদ্ধ। কবিতার ভাষা এবং প্রবন্ধের ভাষায় যে সমালোচনামূলক চিন্তার প্রকাশ থাকে সে প্রকাশকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে থাকে তাঁর এই সমন্বিত অন্তর্দৃষ্টি। জীবন সম্পর্কিত তাঁর নিকট অভিজ্ঞতার মধ্যে আছে নাকবা সম্পর্কিত সচেতনতা, নাকবা হলো ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের দ্বারা ফিলিস্তিনিদের বাস্তুছাড়াকরণ; ১৯৬৭ সালের আরব দুর্য়োগ; আছে ১৯৮২ সালে ইসরাইলি আক্রমণের সময়কার লেবাননের বিশৃঙ্খলা এবং সবচেয়ে বেশি আছে সাম্প্রতিক সময়ের আরব এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়া সমস্যা। ‘দিস ইজ মাই নেইম’ কবিতায় ১৯৬৭ সালে আরবদের পরাজনের ঘা বের করে আনে আরো বড় পরিসরের কাব্যিক বিবেচনা। এ কবিতাটি ইতিহাসকে মহাপ্রলয়ের অন্তহীন বার্তাবাহীরূপে তুলে ধরে।  

জগতের হতভাগারা, এস আরো নিবির সান্নিধ্যে তোমার ছিন্নবস্ত্র আর অশ্রুতে ঢেকে দাও চলমান সময়টাকে;

তোমার উষ্ণতাকাঙ্খী শরীর দিয়ে ঢেকে দাও, এ নগর পাগলামির বৃত্তাংশ;

বিপ্লবের নিজের সন্তান প্রসব দেখেছি আমি; আমি সমাহিত করেছি লক্ষ গান, তারপর এসেছি।

(তুমি কি আমার গোরে আছ?) তোমার হাত দুটো ধরতে দাও: আমাকে অনুসরণ করো;

 আমার সময় এখনও আসেনি; কিন্তু জগতের গোরস্থান তৈরি হয়ে গেছে এখানে;

আমি সুলতানদের জন্য ভষ্ম বয়ে বেড়াই। তোমার হাতদুটো দাও, আমাকে অনুসরণ করো।

(দিস ইজ মাই নেইম)

লেবানরের গুহযুদ্ধ এবং ইসরাইলি আক্রমণের প্রতি অ্যাডোনিসের কাব্যিক প্রতিক্রিয়া হলো ‘দ্য বুক অব সিইজ’; এখানেও মহাপ্রলয়ের বার্তাবাহী, গীতধর্মী এবং টেকসই গদ্যের গভীরচিন্তা—সবগুলো মিলে তৈরি করে আমাদের হতশ্রী জগতের বিশাল দৃশ্যপরম্পরা:

নগরগুলো লুপ্ত হয়ে যায়; আমাদের পৃথিবীটা ধুলোবোঝাই একটা এক্কা।

শুধু কবিতাই জানে, কী করে নিজেকে এই শূন্যের সাথে জোড়া দিতে হয়।  

(ডেজার্ট)

আর আপনি, প্রিয় পাঠক, আপনি কি ইতিহাসের গভীরে এই প্রাচীন আঘাতের একঘেয়েমিতে ক্লান্ত? আপনিও কি দেখতে পান না, আমরা যেটাকে কবিতা-বিরোধী বলে কল্পনা করি সেটার ভেতর থেকেই কবিতার ধারা বের হয়? আপনিও কি দেখতে পান না, আমরা যেটাকে বাস্তবতা বলি সেটা আসলে ত্বকের মতো পাতলা, ছোঁয়া লাগার সাথে সাথে ধূলিসাৎ হয়ে যায়, ভেতরের লুকায়িত বস্তু বের হয়ে পড়ে: আরেকটা লুকানো বাস্তবতা যেখানে মানুষই হলো মহাবিশ্বের কবিতা। (ক্যান্ডললাইট)

কবিতা ও চিন্তা

অ্যডোনিস চিন্তাকে কবিতার অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করেন। ওয়ার্ল্ড লিট্রেচার টুডে’র এক সাক্ষাৎকারগ্রাহককে তিনি বলেন, ‘কবিতা হলো চিন্তা। আর মহৎ চিন্তাও কবিতা।’  ইউটিউবে লুইজিয়ানা চ্যানেলে ধারণকৃত এক সাক্ষাৎকারে অ্যাডোনিস ব্যাখ্যা করে বলেন, ইসলামের আবির্ভাবের সাথে চিন্তা ধর্ম এবং ধর্মতাত্ত্বিকদের একান্ত সংরক্ষিত এলাকা হয়ে দাঁড়ায়। আর কবিরা শুধু ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশের ভেতর নিজেদের সীমাবদ্ধ করে ফেলেন। এলিয়টের ভাষ্যে অন্তর্ভুক্ত করে বলা যেতে পারে, সংবেদনশীলতার বিচ্ছিন্নতা শুরু হয়েছে গেছে। অ্যাডোনিস চিন্তা আর কবিতাকে একাত্ব করার লক্ষ্যে সুফিবাদের আশ্রয় নেন। আন্তসংস্কৃতির সীমা পেরিয়ে সুফিবাদ এবং পরাবাস্তববাদকে সমকক্ষ মনে করেন তিনি। তিনি এক ডজনেরও বেশি সমালোচনার বই প্রকাশ করেছেন। সেগুলোর একটাও ইংরেজিতে অনূদিত হয়নি। আমি মনে করি, অডোনিসের কবিতার সাথে তাঁর গদ্যও অনুবাদ করতে পারলে অনেক সমৃদ্ধি আনার মতো একটা কাজ হবে। ইংরেজিভাষী পাঠকরা তাঁর কবিতা পড়ার সাথে বিচ্ছিন্নভাবে উপস্থাপিত তাঁর চিন্তাচেতনার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার অভিজ্ঞতাও লাভ করবেন।

অ্যাডোনিস চলমান সংকট থেকে নিজেকে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন রাখেননি। বরং উল্টোটাই বলা যায় তাঁর ব্যাপারে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতি তাঁর তিক্ত মন্তব্য উল্লেখের দাবি রাখে। মায়া জাগ্গির সঙ্গে (দ্য গার্ডিয়ান) কথা বলার সময় তিনি বলেন, যদিও তিনি আরব বসন্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তবু তাঁর সংশয়ও ছিল। কারণ ‘শুধু ইসলামপন্থীরা, বণিকরা এবং আমেরিকানরা এই বিপ্লবের মুহূর্তের ফলাফল গুছিয়ে দিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি রাষ্ট্র থেকে ইসলামকে আলাদা করতে না পারি, নারীদেরকে শরিয়াহ আইন থেকে মুক্ত করতে না পারি, তাহলে আমাদের আরো স্বৈরশাসকের মুখ দেখতে হবে। সামরিক স্বৈরশাসন শুধু আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করে; কিন্তু ধর্মীয় স্বৈরশাসন আপনার শরীর মন দুটোকেই নিয়ন্ত্রণ করে।’  পশ্চিমাদের দ্বৈত ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, পশ্চিমারা যদি সত্যিই আরবদের মানবাধিকার রক্ষা করতে চায় তাহলে শুরুতেই তাদের ফিলিস্তিনীদের অধিকার রক্ষা করতে হবে।’ প্যারিসে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রমাণস্বরূপ একটা ফটোগ্রাফ তুলে ধরে বলেন, ‘আমেরিকার সৈনিকরা ইরাকিদের মৃতদেহের ওপর প্রস্রাব করেছে। আর এদেরকেই ডেকে আনতে চাওয়া হচ্ছে আরবভূমিকে মুক্ত করার জন্য; তার মানে, জীবিতদের ওপরে প্রস্রাব করাতে? আরব সভ্যতার অবস্থা তাহলে কী? সভ্যতা জিনিসটাই বা কী? সভ্যতা হলো নতুন কিছু সৃষ্টি করার মতো, একটা অঙ্কিত ছবির মতো। যে জাতি আর কিছু সৃষ্টি করতে পারে না সে জাতি অন্যের উৎপাদিত জিনিসের ভোক্তা হয়ে যায়। আরবদের নিঃশেষ হয়ে যাওয়া বলতে আমি সেটাই বোঝাচ্ছি। জাতি হিসেবে নয়, সৃষ্টিশীল বর্তমানতা হিসেবে।’

তবে অ্যাডোনিসের সৃজনশীলতা এখনও জীবনসম্পৃক্ত। সম্প্রতি তিনি দর্শন মাধ্যমে কাজ করার সাহসী পদক্ষেপও নিয়েছেন: আরবি লিপিকলার সঙ্গে কোলাজের (আরবিতে বলে রাকিমা) সমন্বয় ঘটিয়েছেন। তাঁর এই শিল্পকর্মের প্রদর্শন করেছেন প্যারিসে। এই মহান কবি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত গৌরচন্দ্রিকার শেষ কথা হিসেবে মহান গদ্য লেখক স্যার বিদ্যা নাইপলের মূল্যায়ন শোনা যেতে পারে: ‘তাঁর দর্শন অসাধারণ। তাঁর কবিতা মহিমান্বিত। আমার কাছে তিনি আমাদের সময়ের মহান শিল্পী।’