আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলী উপজেলায় কলেজছাত্রী মালা আকতারকে হত্যার মরদেহ পর সাত টুকরো করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি আইনজীবী মাইনুল আহসান ওরফে বিপ্লবের বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আইনজীবী মাইনুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁর উপস্থিতিতে শনিবার দুপুরে এ চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কলেজছাত্রী মালা আকতারকে প্রেমিক আলমগীর হোসেন ওরফে পলাশ তাঁর ভাগনি জামা্ই আইনজীবী মাইনুল আহসানের আমতলী শহরের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসেন। তিন দিন ধরে তারা ওই বাড়িতে অবস্থান করেন। গত ২৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) মালা তাঁর প্রেমিক আলমগীরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।
কিন্তু আলমগীর এতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায় ওই দিন দুপুরে আলমগীর মালা আকতারকে ধারালো অস্ত্র (বটি) দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহ সাত টুকরো করেন। পরে তা বাসার গোসলখানায় দুটি ড্রামে ভরে লুকিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আইনজীবী মাইনুল আহসানকে ওইদিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরূল ইসলাম বাদল বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন ও আইনজীবী মাইনুল আহসানের নাম উল্লেখ করে এবং অপর দুজনকে অজ্ঞাত আসামি করে চারজনের নামে ওইদিন রাতেই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ২৫ অক্টোবর আলমগীর হোসেন আমতলী উপজেলার বিচারকি হাকিম মো. হুমায়ূন কবিরের আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই দিন পুলিশ অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনজীবী মাইনুল আহসানের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
বিচারক হুমায়ুন কবির রিমান্ড আবেদনের শুনানী শেষে গত ৩১ অক্টোবর আইনজীবী মাইনুল আহসানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় শনিবার দুপুরে মাইনুল আহসানের কথিত মতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁর বাসার গোসলখানা সংলগ্ন পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি উদ্ধার করে।
আইনজীবী মাইনুল আহসানের উপস্থিতিতে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও পুলিশ জব্দ করে।