আয়না২৪ ডেস্ক
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের সেনাদের অমানবিক নির্যাতনের পর এই প্রথম রাখাইনের ধংসাবশেষ দেখতে গেলেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। দেশটির এক সরকারি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম- বিবিসি এ খবর জানাচ্ছে।
ওই মুখপাত্র বলেছেন, একদিনের সফরে রাখাইনের দুটি শহর পরিদর্শন করবেন সু চি। রাখাইনের যে এলাকা থেকে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, সু চি সেরকম একটি এলাকা সফর করবেন। যদিও রাখাইন সফরে যাবার আগে কোনো ঘোষণা দেননি তিনি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান না নেয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে এরই মধ্যে বেশ সমালোচিত হয়েছেন তিনি। সরকারের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, বর্তমানে রাখাইনের সিটুয়ে-তে অবস্থান করছেন সু চি।
এরপর তিনি মংডু এবং বুথিডং এলাকা সফর করবেন। এ দুটো এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখান থেকে হাজার-হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। সু চি’র সফর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি তার দপ্তর। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেনাবাহিনীর দিক থেকে হুমকি আসতে পারে, এমন আশঙ্কায় সু চি তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে চান না।
গত বুধবার সু চি’র একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, রাখাইন প্রদেশ থেকে যে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা গত দুমাসে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে গেছেন, তাদের প্রত্যাবাসনে গেলেনের কাজে বাংলাদেশের জন্যই দেরি হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সারা বিশ্ব থেকে যে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে, সে জন্যই তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ঢিলেমি করছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। বিবিসি।