খুলনা প্রতিনিধি
রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে আগামী ২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে ৪ নভেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী সুন্দরবনের দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী রাসপূর্ণিমা পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে।পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ৮টি পথ নির্ধারণ করেছে। এসব পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহলদল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসব তথ্য জানানো হয়।অনুমোদিত আটটি পথ হলো- বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর।কদমতলা থেকে ইছামতি নদী, দোবেকি হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদার গাং, খোপড়াখালী ভাড়ানি, দোবেকি হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর।কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়েআড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী-চাঁদপাই স্টেশন হয়ে পশুর নদী দিয়ে দুবলারচর, বগী-বলেশ্বর-সুপতিস্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। শরণখোলা স্টেশন-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীরা ২ থেকে ৪ নভেম্বর এ তিনদিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে এবং প্রবেশের সময় এন্ট্রি পথে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
যাত্রীরা নির্ধারিত রুটের পছন্দমতো একটিমাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন।বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি-সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পাওয়া সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, মাইক বাজানো, পটকা ও বাজি ফাটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যেকোনো অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।