• Home  / 
  • জাতীয়  / 

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে চীন-ভারত-রাশিয়ার ভূমিকা জরুরিঃ ইইউ রাষ্ট্রদূত

অক্টোবর ১৮, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদন

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রেনসে টিরিংক বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে রাশিয়া, চীন ও ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মিয়ানমারে চীনের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের বিষয়টি এ সংকট সমাধানে যেকোন উদ্যেগের ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে। 
 
বুধবার  ঢাকার একটি হোটেলে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সংকটের স্থায়ী সমাধান আশা করে ইইউ।
 
নতুন রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে তার কূটনৈতিক মিশন অত্যন্ত আনন্দদায়ক। গত এক মাসে তিনি যে অভ্যর্থনা পেয়েছেন তা তাকে মুগ্ধ করেছে। এর আগে নেপালে এবং ভারতে দায়িত্ব পালনের কারণে বাংলাদেশ তার কাছে আগে থেকেই চেনা। তিনি কিছু কিছু বাংলাও শিখেছেন। 
 
রাষ্ট্রদূত রেনসে টিরিংক জানান, এমন একটা মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশে দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন যখন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ এই বিপন্ন বাস্তুচ্যুতদের জরুরি আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দিয়ে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। একইসঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতি বাংলাদেশকে বড় চাপেও ফেলেছে। এ সংকট মোকাবেলায় ইইউ চায় কফি আনান কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসন। সর্বশেষ ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের সভা থেকেও মিয়ানমারের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে। 
 
তিনি বলেন, কূটনৈতিক নিয়ম-কানুন অনুযায়ী অনেক বিষয়েই তার কথা বলার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে তিনি তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী থেকে কিছু মতামত দিতে পারেন। এ দৃষ্টিকোন থেকেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন  প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন চোখের আড়ালে ছিল। যখন চোখের সামনে আসল তখন রাখাইনে নিষ্ঠুর অভিযান পরিচালনার বিষয়টি বিশ্বের নজরে এল। একইসঙ্গে দেখা গেল মিয়ানমারে চীনের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িতক স্বার্থ রয়েছে। রাশিয়া এবং ভারতের সঙ্গেও মিয়ানমারের কৌশলগত কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। এমন অবস্থায় রাখাইনের সংকট নিরসনে চীন, রাশিয়া এমনকি ভারতের ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মিয়ানমারকে সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করার জন্য চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে সামনে চলে আসছে। চাপ দিতে হবে, কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব হবে এটাই প্রশ্ন। তবে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট এখন পুরো বিশ্বের নজরে রয়েছে। এ কারণে সংকট নিরসনে ইতিবাচক আন্তর্জাতিক উদ্যোগ আসতে পারে। তবে সংকটের সমাধান দীর্ঘমোয়দী হলে সেক্ষেত্রে আগামী ছয় মাস পর রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়সহ নতুন অনেক প্রসঙ্গ চলে আসার আশংকা দেখা দিতে পারে।