আয়না২৪ ডেস্ক
পৃথিবীর ধংস কি ঘনিয়ে আসছে। অন্তত প্ল্যানেট এক্স বা নিবিরু তত্ত্বে বিশ্বাসীদের সে রকমই দাবি। এই তত্ত্বে বিশ্বাসীরা মনে করেন, নিবিরু বা এক্স নামক রহস্যময় গ্রহ মণ্ডল রয়েছে মহাশূন্যে। যেখানে রয়েছে নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ এবং গ্রহাণুর মতো সব কিছুই। এমনই এক ভয়ংকর আশংকার কথা জানাচ্ছেন গবেষক ডেভিড মিড তাঁর গবেষণায়৷ তাঁর বিখ্যাত বই ‘প্ল্যানেট এক্স: দ্য ২০১৭ অ্যারাইভাল’ বইটিতেই উঠে এসেছে এই আশংকা।
তাঁদের বিশ্বাস, প্ল্যানেট এক্স যখন পৃথিবীর ওপর দিয়ে যাবে তখন থেকেই পৃথিবীর ধ্বংসের শুরু হবে। সেপ্টেম্বরেও এমনটাই দাবি করেছিলেন নিবিরু বিশ্বাসীরা।
এবার তাঁদের দাবি, আগামী ১৫ তারিখ থেকে নিবিরু পৃথিবীর ওপর দিয়ে তার যাত্রা শুরু করবে। আর পৃথিবীর শেষের শুরু হবে। ১৫ তারিখ থেকে টানা ৭ বছর বিশ্ব জুড়ে চলবে ভূমিকম্প, সুনামি, ঘূর্ণিঝড়, জেগে উঠবে আগ্নেয়গিরি। আমেরিকায় পরপর আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড়, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ তারই প্রমাণ।
ম্যাট রজার্স নামে এক নিবিরু বিশ্বাসী ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছেন, হাতে আর সময় নেই। সৌরমণ্ডলের সব থেকে দূরে অবস্থিত কুইপার বেল্ট থেকে ছিটকে আসছে গ্রহাণু, যা দেখা গিয়েছে নাসার ক্যামেরাতেও। ছবিতে দৃশ্যমান গোলাপি আভা আসলে প্ল্যানেট এক্সের প্রতিফলন। ‘প্ল্যানেট এক্স ২০১৭–দ্য অ্যারাইভাল’ বইয়ের লেখক ডেভিড মিয়েডের দাবি, আমেরিকার জ্যোতির্বিজ্ঞানী রবার্ট হ্যারিংটন এবং অস্ট্রেলিয়ার জ্যোতিষ রডনি মার্কস, যাঁরা প্রথম এক্স গ্রহের কথা বলেছিলেন তাঁরা দুজনেই রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে, কতটা শক্তিশালী এক্স গ্রহ।
যদিও নিবিরু বিশ্বাসীদের সব তত্ত্বই খারিজ করে দিয়েছে নাসা। নাসা সাফ জানিয়েছে, এধরনের আশংকার কারণ এখনই নেই পৃথিবীর। এটা ইন্টারনেটে ছড়ানো একদলের সম্পূর্ণ গুজব এবং কাল্পনিক গাথা। গ্রহ এক্সের কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। সাধারণ মানুষকে এই গুজবে কান না দিতে আবেদন করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে নিবিরু বিশ্বাসীদের পোস্ট করা ভিডিওয় ইতিমধ্যেই অনেক সাড়া পড়েছে, ফলে ছড়াচ্ছে আতঙ্কও।