অ্যাকজিমা জনিত সমস্যা হলে করণীয়

অ্যাকজিমা কি সারে না
Spread the love

আয়না ২৪ ডেস্ক

অ্যাকজিমা ত্বকের এক ধরনের অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ। রাসায়নিক পদার্থ, প্রোটিন, জীবাণু, ছত্রাক ইত্যাদির প্রভাবে অ্যাকজিমা হতে পারে। কিছু কিছু অ্যাকজিমা বংশগত।

যেমন- এটপিক অ্যাকজিমা, লাইকেন সিমপ্লেক্স। তবে বংশগত কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায় না সংস্পর্শ অ্যাকজিমা, স্ক্যারিয়াস অ্যাকজিমা, অপুষ্টিজনিত ও ছত্রাকজনিত অ্যাকজিমা।

অনেকের ধারণা অ্যাকজিমা সারলে হাঁপানি হয়। এই ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে এটপিক অ্যাকজিমার সঙ্গে হাঁপানির সম্পর্ক আছে। দেখা গেছে এটপিক অ্যাকজিমায় আক্রান্ত রোগীর বংশে কারও হাঁপানি আছে। যাদের দীর্ঘদিনের অ্যাকজিমা আছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।

রোগ পুষে রাখলে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে কিংবা সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে এক্সফোলিয়েটিভ অ্যাকজিমার সৃষ্টি হতে পারে। অনেকের এও ধারণা অ্যাকজিমা ছোঁয়াচে। এটিও সত্য নয়। অ্যাকজিমার ওপরে জীবাণুর সংক্রমণ হলে অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারে। স্ক্যাবিয়াস অ্যাকজিমা রোগী থেকে সুস্থ দেহে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। অ্যাকজিমা হলে রক্ত খারাপ হয়ে গেছে কিংবা বিয়ে করা যাবে না- এটিও সত্য নয়।

অ্যাকজিমা নিশ্চয়ই সারে। সঠিক চিকিৎসা নিলে এবং যে কারণে অ্যাকজিমা হচ্ছে তার কারণ পরিহার করে চলতে পারলে প্রায় সব ক্ষেত্রেই অ্যাজকিমা সারে। তবে চিকিৎসা একটু দীর্ঘস্থায়ী।

ডা. দিদারুল আহসান, ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।

আয়না ২৪ ডেস্ক/ স্বাস্থ্য