জেনে নিন ফলের খোসার নানা গুণাগুণ

জেনে নিন ফলের খোসার নানা গুণাগুণ
Spread the love

আয়না ২৪ ডেস্ক

বেশিরভাগ মানুষই ফলের খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের অংশটা খেতে অভ্যস্ত৷ অথচ অনেক ফলের ক্ষেত্রে খোসাতেই নাকি রয়েছে আসল খাদ্য উপাদান৷ চলুন জেনে নিই সেরকম কিছু ফল ও তার গুণের কথা৷

ফলের খোসা আমরা উচ্ছিষ্ট হিসেবে সাধারণত ফেলে দিয়ে থাকি। অথচ এসব খোসা বা ছালেই লুকিয়ে থাকে ফলের আসল গুণাগুণ। এ ধরনের কয়েকটি ফল- কমলালেবু, আপেল, তরমুজ কলা, কালো আঙুর, পাকা পেঁপে ও বেদানা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কমলার খোসা ত্বকের তৈলাক্তভাব কমায়। ব্রণের সমস্যা দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। সব থেকে ভালো ও প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে পারে একমাত্র কমলার খোসা।

আপেলের খোসায় থাকে ট্রিটেরপর্নোইডস যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া আক্সালিক অ্যাসিড শরীরের মাংসপেশিতে মেদ জমতে দেয় না। তরমুজের খোসার উপকারিতাও কম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে, এর খোসায় রয়েছে সাইট্র–লিন অ্যামাইনো অ্যাসিড যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি পুরুষত্বহীনতায় মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।

কলার ছালে থাকে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন নামক উপাদান। এটি চোখের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। মুখে বা শরীরে যে কোনো অংশে চুলকানি বা ফোড়া হলে ওই অংশে কলার খোসা হালকা করে ঘষলে কাজ হয়। পতঙ্গ কামড়ালেও মুশকিল আসানের কাজ করে কলার খোসা।

কালো আঙুরের খোসায় রেসভেরাট্রল নামক উপাদান রয়েছে। এটি শরীরে কোলেস্টেরলকে বাড়তে দেয় না। পাশাপাশি হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে। পাকা পেঁপের খোসা পেস্ট করে ফেইস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করলে মুখের স্কিন ভালো হয়। অন্যদিকে বেদানার খোসার গুঁড়ো খুবই কার্যকরী। কাশি বা গলাব্যথা হলে গরম জলে গুঁড়ো দিয়ে কুলকুচি করলে আরাম মেলে। এই জলে দাঁতেরও কিছু রোগ সারে।

 

আয়না ২৪