আয়না ২৪ প্রতিবেদন
ঢাকার আশপাশের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধলেশ্বরীর এলাসিন পয়েন্টে আগের দিনের তুলনায় পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে গতকাল শুক্রবার বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
সবচেয়ে বেশি বিপদের ডাক দিচ্ছে শীতলক্ষ্যা। শীতলক্ষ্যার লাখপুর প্রান্তে পানি ইতোমধ্যে বিপদসীমার ওপরে উঠে গেছে, যা নারায়ণগঞ্জ ছাপিয়ে সহজেই যেকোনো সময় ঢাকায় ঢুকে পড়বে পূর্ব দিক দিয়ে। কারণ বড় ঝুঁকির বিষয় হয়ে রয়েছে ঢাকার অরক্ষিত পূর্বাঞ্চল। এদিকে পানি বেড়েছে পদ্মায়। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, ভাগ্যকূলসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে বড় ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরীর পানি বেড়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিকে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, ১৯টি নদীর পানি ২৮টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ৪৬টি নদ-নদীর পানি কমেছে, আর বেড়েছে ৪৩টির। তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, যেসব নদ-নদীর পানি কমেছে সেগুলো এখনো বিপদসীমার ওপরেই রয়েছে। আবার উত্তরে যতটুকু কমেছে তার তুলনায় মধ্যাঞ্চলে পানি বেশি বেড়েছে।
এছাড়া পানি আবারও বাড়তে পারে উল্লেখ করে বন্যা বিশেষজ্ঞ মো. সেলিম ভূইয়া জানান, ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা থাকায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কমে যাওয়া নদ-নদীর পানি আবার বাড়তে পারে। এ ছাড়া দুই দিন পরই অমাবস্যা। ফলে পানি সাগরে নামতে বাধা পাবে।
অন্যদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, গঙ্গা ও পদ্মার পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাড়বে। আর কমবে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, সুরমা ও কুশিয়ারার পানি।
এছাড়া, শীতলক্ষ্যার পানিও একটু একটু করে বাড়ছে। তবে বন্যা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আয়না ২৪/১৯ আগস্ট, ২০১৭/প্রতিবেদক